নাটোরের কামারশালায় নেই তেমন ভীড়

0 ১১৭

নাটোর প্রতিনিধি: আর মাত্র কয়দিন পরেই কোরবানীর ঈদ। এই কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে নাটোরের কামারশালাগুলোয় তেমন কোন ভীড় নেই। কাজ কম জন্য অনেকেই অলস সময় পাড় করছেন। এর পরেও ধির গতিতে চপ্পল,চাপাতি,চাকু সহ গরু-খাসি জবাই করার অস্ত্রপাতি তৈরী ও পুরাতন অস্ত্র নতুন করে ধার ও পালিশ করার কাজ করে চলেছেন তারা।

একটি বছর তারা অপেক্ষা করে থাকেন যে কোরবানী ঈদে তারা বেশী কাজ পাবেন। কিন্তু অন্যান্য বারের তুলনায় নাটোরের বড় হরিশপুর, নিচাবাজার সহ বিভিন্ন কামার পাড়ায় ঘুরে দেখা গেছে এসব কামারপাড়ায় নেই তেমন ভীড়। লোহা ও কয়লার দাম বেশী হলেও কুরবানীর জন্য নিতান্ত প্রয়োজনীয় অস্ত্র কিনতে ও ধার দিতে আসছেন ক্রেতারা। কিন্তু কাজের চাপ অনেক কম।

পলান কর্মকার প্রণব কর্মকার, মিঠুন কর্মকার, বিশ্বনাথ কর্মকারসহ কারিগররা জানান, কামারশালার মালিকরা জানান, এবার লোহা , কয়লাসহ সব কিছুর দাম বাড়লেও তাদের মজুরী বাড়েনি। এর পরেও এবার অন্যান্য বারের চেয়ে খরিদদার অনেক কম।

অন্যান্যবার ঈদের ১৫ দিন আগে থেকেই তাদের কাজের চাপ বেড়ে যেত। কিন্তু এবার তাদের কাজের একেবারেই চাপ নেই। দুই একজন করে আসছেন এক বছর ধরে পড়ে থেকে অস্ত্রগুলো মরিচা পড়ে ধার নষ্ট হয়ে যাওয়া অস্ত্রগুলো পুড়িয়ে নতুন করে ধার দিতে। নতুন অস্ত্র বানানোর জন্য আসছেন খুব কম। তবে এখনও ২/৩ দিন বাকি আছে আসতেও পারে।

মিলন নামের একজন কর্মকার জানালেন তিনি পালিশের কাজ করেন বৈদ্যুতিক মেশিনে। বিদ্যুতের লোড শেডিংয়ের জন্য পালিশ ও ধার দেওয়ার কাজে বিলম্ব হচ্ছে ।

আবুল কালাম, রেজাউল করিম, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল আলিম সহ কোরবানীর পশু জবাই করার অস্ত্রপাতি কিনতে ক্রেতারা জানান, মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানী করবেন। তাই কোরবানীর পশুর চামড়া ছাড়ানো এবং মাংস কাটার জন্য পুরাতন মরিচা পড়া বটি, দাও, চাকু ,চাপ্পলও ছুড়ি সহ বিভিন্ন অস্ত্রপাতি পুড়িয়ে ধার দিতে এসেছেন তারা। দুই একটি অস্ত্র নতুন করে কিনবেন তারা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.