নিয়ামতপুরে এসএসসি’র ফরম পূরনে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ

0 ৭৬
নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ আগামী ২৪ সালে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরনে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে নিয়ামতপুরের একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাসুদেবপুর দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে।
জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান কুমার শিক্ষাবোর্ড নির্ধারিত ফি এর চেয়ে (মানবিকের ফরম পূরনের জন্য ১৫১০ টাকা ও কেন্দ্র  ফি ৪৫০ টাকা মোট ১৯৬০ টাকার স্থলে আদায় করছেন ২৩০০ টাকা। আর বিজ্ঞান বিভাগের ফরম ফি ১৬০০ টাকা ও কেন্দ্রে ফি ৪৫০ টাকা মোট ২০৫০ টাকার স্থলে আদায় করছেন ২৪০০ টাকা) মানবিক বিভাগের জন্য ৩৪০ টাকা ও বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৩৫০ টাকা করে বেশী আদায় করছেন শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের ঘটনায় চরম অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে। প্রতিকার চেয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাকরা জোট হয়ে এ ঘটনায় ইউএনও বরাবর একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন।
শিক্ষার্থী অসিম বর্মণের বাবা নিমাই বর্মন জানান, তার ছেলে ২৪ সালে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে অংশ নিবে এ বিদ্যালয় থেকে। এ জন্য শুরু হয়েছে ফরম পূরনের কাজ। তিনি ঋনমহাজন করে ছেলের ফরম পূরনের জন্য ২০০০ টাকা সংগ্রহ করে গিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষকের নিকট। প্রধান শিক্ষককে শিক্ষাবোর্ড নির্ধারিত ১৯৬০ টাকা দিতে চাইলে তিনি তা নিতে চাননি। তার দাবী ২৩০০ টাকাই লাগবে। তাই বিমূখ হয়ে ফিরে আসেন তিনি। তিনি জানান, অভাবের সংসারে অতিরিক্ত টাকা দেয়া তার পক্ষে প্রায় অসম্ভব। অতিরিক্ত টাকার জন্য তার ছেলের এখনও ফরম পূরন আটকে আছে বলেন তিনি। এমন অভিযোগের কথা জানান শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ছালাউদ্দীন, জালাল উদ্দীন, সন্তোষ বর্মণসহ আরো অনেকে।
এ ঘটনায় জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম জানান, বিষয়টি এখনও জানেনা তিনি। তবে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেন তিনি। ঘটনা জানতে মুঠোফোনে প্রধান শিক্ষক বিধান কুমারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, পাশর্^বর্তী বেশ কিছু বিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করে অতিরিক্ত মানবিকের ২৩০০ টাকা ও বিজ্ঞানের ২৪০০ টাকা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিছু কিছু শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ওই হারে টাকা নেয়া হয়েছে। যাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়েছে তাদেরকে টাকা ফেরৎ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.