পুতিনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে একজোট হচ্ছেন রাশিয়ার বিরোধী নেতারা

৮৩
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি-সংগৃহীত।

ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সাম্প্রতিক ব্যর্থতা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার একটি সুযোগ এনে দিয়েছে দেশটিন বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের।

ইউক্রেন যুদ্ধে খুব তাড়াতাড়ি বিজয় না আসা, রাজধানী কিয়েভ দখল করতে না পারা, ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পাল্টা আক্রমণ আর তাতে অনেক রাশিয়ান সৈন্যের প্রাণহানি- সব মিলিয়ে সুযোগের অপেক্ষায় থাকা পুতিন বিরোধীদের জমতে থাকা অসন্তোষ ও ক্ষোভ তাদের একজোট হওয়ার মোক্ষম সুযোগ এনে দিয়েছে। খবর সিএনএনের।

এ বিষয়ে পুতিনের নিজের শহর সেন্ট পিটার্সবার্গের একজন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা দিমিত্রি পালইয়োগা বলেন, ‘এখন একটি বিষয়ে উদারপন্থী দলের লোকেরা আর একসময় যুদ্ধের পক্ষে থাকা লোকেরা একটি লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে পারেন এবং এই লক্ষ্যটি হলো পুতিনের পদত্যাগ।’ দিমিত্রি মনে করেন পুতিনের বিরুদ্ধে অভিসংশন প্রস্তাব আনা উচিত।

মানবিক ও আইনগত দিক থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের বিরোধীতাকারী উদারপন্থিরাও দিমিত্রির মতো মনে করেন তাদের প্রতি সমর্থন সামনে আরও বাড়বে।

দিমিত্রি পালইয়োগা আরও বলেন, ‘আমরা পুতিনের সমর্থক ছিলেন কিন্তু এখন তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন এমন কিছু মানুষকে টার্গেট করে এগুতে চাই। রাশিয়ার সেনাবাহিনী এই মুহূর্তে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আমরা মানুষ হারাচ্ছি, অস্ত্র হারাচ্ছি আর হারাচ্ছি নিজেদের রক্ষা করার সামর্থ…এমনকি রাশিয়ার প্রপাগান্ডাও এই বিষয়গুলো লুকাতে পারছে না … রাশিয়ার সেনাবাহিনী ইউক্রেনে পরাজিত হচ্ছে।’

তবে দিমিত্রির ভাষায় পুতিনের নতুন সমালোচকরা আইনের প্রতিটি অক্ষর মেনে সাবধানে চলার নীতি নিয়েছেন। কারণ, পুতিনের রাশিয়ায় ক্রেমলিনের সমালোচকদের পরিণতি খুব ভালো নয়। পুতিনের সবচেয়ে কড়া সমালোচক বিরোধী দলের নেতা অ্যালেক্সি নাভালনিকে প্রথমে বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করা হয়, পরে পাঠানো হয় জেলখানায়। আরেকজন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বরিস নেমতসভ পিঠে আততায়ীর হাতে গুলিবিদ্ধ হন। ইউক্রেন যুদ্ধের বিরোধীতাকারী লেখক ও রাজনীতিক ভ্লাদিমির কারা-মুরজাকে পাঠানো হয় জেলখানায়।

Comments are closed.