প্রতিবন্ধি গৃহবধুকে হাতপা বেঁধে মধ্যযোগীয় কায়দায় অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে

0 ৩৭২

মাজহারুল ইসলাম, (রৌমারী কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: রৌমারী উপজেলায় এক প্রতিবন্ধি গৃহবধুকে বর্বর মধ্যযোগীয় কায়দায় অমানষিক নির্যাতন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রৌমারী উপজেলাধীন ২নং শৌলমারী ইউনিয়নের পুরারচর গ্রামে।

 

ওই গ্রামের আবুল হেসেনের পুত্র হেলপা পাগলা ওরফে ফুল বাবুর সাথে রৌমারী ইউনিয়নের পূর্ব ইচাকুড়ি গ্রামের মৃত্যু কদম আলীর প্রতিবন্ধি মেয়ে কড়িফুলের সংগে বিবাহ হয়। তবে স্বামী স্ত্রী উভয় প্রতিবন্ধি প্রায়। তাদের ৯ বছরের বৈবাহিক জীবনে ৮ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

 

করিফুলের মা সামিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার প্রতিবন্ধি কড়িফুলকে তার শশুর বাড়ির লোকজন মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে হাত-পা বেঁধে কাস্তে আগুনে গরম করে কোমরের নিচে আপত্তিকর স্থানে অসংখ্য ছ্যাকা দেয়া হয়। ছ্যাকা দেওয়ার সংগে সংগে চামড়া উঠে যায়। এমনকি উক্ত জায়গায় লবন ও মরিচের গুড়া লাগিয়ে দেয় বলে অভিযেগে উল্লেখ করেন।

 

পরে কড়িফুলের মা পাশ্বের বাড়ির লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে জামাই বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে হাতপা বাধা নির্যতনের চিত্র দেখতে পান। পরে মেয়েকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করান ।

 

সেখানে ৬দিন চিকিৎসার পর তাকে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রেপার্ট করা হয়। দরিদ্র মায়ের অর্থকড়ি না থাকায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাহিরে নিতে পারেননি। দরিদ্র মায়ের ঘরে প্রতিবন্ধি কড়িফুল মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এবিষয় শৈলমারী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিল নির্যাতনের বিষয় তিনি বলেন এমন মর্মান্তিক নির্যাতন কারীকে আইনের আওতায় এনে সাস্তি হওয়া দরকার।

 

শৈলমারী ইউনিয়ন আওয়ামীগের সভাপতি এবং সাধারন সম্পাদক নুর আলম এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে এবং বিচারের কাটগড়ায় নেয়ার দাবী জানান। রৌমারী উপজেলা সাস্থ্যকমপ্লেক্সের দায়ীত্বরত ডাঃ সেলিম মানবিক নির্যাতনের বিষয় বলেন আমরা আমাদের সাধ্যমত চিকিৎসা দিয়েছি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

রৌমারী থানার ইনর্চাজ মোন্তাছের বিল্লাহ এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। অবশেষে কড়িফুলের ৮ বছরের শিশু সেও সরকারের কাছে মায়ের অমানবিক নির্যাতনের বিচার চেয়েছে দেখুন কি বলতে চায়।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.