বগুড়ায় পুলিশ প্লাজা উদ্বোধন করলেন- আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন

0 ৯০

বগুড়া প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বলে খ্যাত, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মূল কেন্দ্রবিন্দু, বাণিজ্যিক কর্মকান্ডের প্রধান স্থান ও প্রাণবন্ত নগরী ঐতিহ্যের ধারক বগুড়াতে উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ, সর্বাধুনিক, নান্দনিক, সব ধরণের নাগরিক সুবিধা সম্বলিত শপিংমল পুলিশ প্লাজা বগুড়ার উদ্বোধন করা হয়েছে।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌণে ১২টার দিকে শহরের নবাববাড়ি মোড়ে অত্যাধুনিক এই প্লাজার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম।

বগুড়া পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর সভপতিত্বে এ বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠান আয়োজিত পুলিশ প্লাজায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান ও বগুড়া সদরের সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান রিপু।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত আইজিপি আবু হাসান তারেক, ডিআইজি মোস্তাক আহমেদ খান, অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ রিয়াজ আলম, বগুড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মকবুল হোসেন, বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু, বগুড়ার চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রিজ’র সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, টিএমএসএস’র নির্বাহী পরিচালক ড. হোসনে আরা বেগম, বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন মিন্টুসহ পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে ১২ হাজারেও বেশি পুলিশ সদস্যদেরকে প্রায় ৭১ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে অসুস্থ ও কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত পুলিশ সদস্য ও পুলিশের সন্তানদের উপবৃদ্ধি দেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে অকালে মৃত্যুকালীন অনুদান, চিকিৎসা অনুদান। এ জন্য বগুড়ায় পুলিশ প্লাজা চালু হতে বগুড়াবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

আইজিপি আরও বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে প্রধানমন্ত্রী যে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন সেই নীতির আলোকে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তিনি আরও বলেন, স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পথ মসৃণ ছিল না। পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করেছে, যাতে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশে সৃষ্টি হয়।

বগুড়া ব্যবসায়িক কেন্দ্র। আমরা এখানে পুলিশ প্লাজার নামে মার্কেটটি স্থাপন করেছি। এই মার্কেটটি ব্যবসা সফল হবে। এই মার্কেট থেকে আমরা আমাদের পুলিশ পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা করতে পারবো। একই সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে এবং বগুড়াতেও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।

তবে প্রায় পাঁচ বছর আগে পুলিশ প্লাজা স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়। বগুড়াসহ কুমিল্লা, যশোর, কুয়াকাটা ও কক্সবাজারে এই পুলিশ প্লাজা স্থাপনের কাজ শুরু করে সংস্থাটির কল্যাণ ট্রাস্ট।
উল্লেখ্য সদ্য উদ্বোধিত এই প্লাজার আয়তন এক লাখ ৫৭ হাজার ৮২৬ বর্গফুট। ভবনের উচ্চতা ১৪২ ফুট। ভবনের ১০টি ফ্লোরে মোট দোকানের সংখ্যা ২১৮টি রয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.