বিএনপির ষড়যন্ত্রের রাজনীতিই গণতন্ত্রের বিকাশে বাধা: কাদের

0 ২৭৮

বিএনপির অগণতান্ত্রিক আচরণ এবং ষড়যন্ত্রের রাজনীতিই বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশে প্রধান বাধা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘দেশ-বিদেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়নবিরোধী অপশক্তি এখনও সক্রিয়। এ অপশক্তি মোকাবিলায় শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐকবদ্ধ থাকতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রকাশিত গণতন্ত্র সূচক-২০২০ প্রতিবেদনে গত একবছরে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও চার ধাপ এগিয়েছে। করোনা মহামারিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন গণতন্ত্রের পরিসর সংকুচিত হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের এ অগ্রগতি শেখ হাসিনা সরকারের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেয়ার বৈশ্বিক স্বীকৃতি।’

তিনি বলেন, ‘নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে এ প্রতিবেদনে করোনাকালে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অব্যাহত উত্তরণকেই বিশ্বের মাঝে তুলে ধরা হয়েছে। এ স্বীকৃতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যায়ার গতিকে আরও বেগবান করবে।’

দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দলের ভূমিকা ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি প্রায়শই বলে সরকার দেশকে বিরোধীদলশূন্য করতে চায়। প্রকৃতপক্ষে জনগণ বিএনপিকে একটি দায়িত্বশীল ও শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবেই দেখতে চায়।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করলেও অরাজনৈতিক ভাষায় সরকারের সমালোচনা করছেন এবং অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ছেন। বিদেশে বসে বিবৃতিতে মির্জা ফখরুলের মিথ্যাচার আর কল্পিত অভিযোগ ‘কথামালার চাতুরি’ ছাড়া কিছুই নয়।’

বিএনপি নিজেদের অতীত ভুলে গিয়ে সরকারের সমালোচনা করছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নিজেই এখন উন্মত্ত। অন্ধকারে অলিগলি খুঁজে ব্যর্থ হয়ে কর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচতে তারা এখন আবোল-তাবোল বকছে। এদেশে রাজনীতিতে যা কিছু জনবিরোধী এবং অকল্যাণকর তার সবকিছুই বিএনপির হাত ধরেই হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক চলমান চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচন যেসব এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে বা হচ্ছে সেসকল এলাকা ছাড়া এর বাইরের সাংগঠনিক এলাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, ‘যে সকল জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে সে সকল ইউনিটে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে।’

সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘পৌরসভা নির্বাচনের পরেই শুরু হবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। সবাইকে এখন থেকেই সাংগঠনিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।’

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের কমিটিও সম্মেলনের মাধ্যমে করতে হবে। এসকল নির্দেশনা বাস্তবায়নে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদারের জন্য দলের পক্ষ থেকে প্রতিটি ইউনিটকে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.