বৃদ্ধ পিতা-মাতার ঠাই মিলল স্কুল শিক্ষিকার বাড়িতে

0 ১৩৩

মোহাঃ মাইনুল ইসলাম লাল্টু, শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ দৈনিক ইত্তফাক ও দৈনিক সোনার দেশ পত্রিকার অনলাইন সহ বিভিন মিডিয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জে সম্পত্তি ও অর্থ হাতিয়ে নিয়ে মা-বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে দওয়ার অভিযাগ উঠছে সন্তানদের বিরুদ্ধে। সংবাদ প্রকাশের তিনদিন পর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপে তার ছোট মেয়ে জামাইয়ের বাড়িতে ঠাঁই মিলল।

গতকাল শুক্রবার রাতে কানসাট পুখুরিয়া এলাাকায় কাজিপাড়া গ্রাম দাহারুলের বন্ধুর ভাড়া করা বাড়িতে গিয়ে সন্তানদের ডেকে আলাপ আলাচনার পর অবশেষে তার ছােট মেয়ে ও মনাকষা ইউনিয়নর রাজনগর হাঙ্গামী উচ বিদ্যালয়র সহকারী শিক্ষক খাদিজার বাড়িতে যাবার সিদ্ধান্ত হয়।

এ সময় তার ছেলে সোনামসজিদ ডিগ্রী কলজোর সহকারী অধ্যাপক এমরান আলী তাদেরকে নিয়ে যেতে চাইলেও তারা সেখানে যেতে রাজী হননি।

শিবগঞ্জ উপজোলা নির্বাহী অফিসার আব্যুল হায়াত বলেন তাদের ছেলে মেয়েদের ডেকে বুঝােনা হলে তারা সবাই অনুতপ্ত হন এবং তাদের পিতামাতাকে নিয়ে চেয়েছেন । কিন্তু তারা ছেলেদের বাড়িতে যেতে রাজী না হওয়ায় তার সেজো মেয়ে ও স্কুল শিক্ষিকার বাড়িতে যেতে রাজি হয় এবং সেখানে পাঠানাে হয় এবং তাদেরকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার চার ছেলে মেয়ের নিকট হতে প্রায় সাড় ২১ লাখ টাকা নিয়ে তাদর স্বামী স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা রাখা হবে বলে জানান ।

তিনি আরো বলেন তাদের টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মনোমালিন্যের কারনে এটি ঘটেছে।

উল্লখ্য, গত বহস্পতিবার রাত দৈনিক ইত্তফাক ও দৈনিক সােনার দেশ, দৈনিক রাজশাহী প্রতিদিন পত্রিকায় ও স্বাধীন বাংলা টিভিতে, কালের খবর প্রিন্ট পত্রিকা ও অনলাইন সহ বিভিন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুর হায়াত রাত ১১টার দিক বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার ভাড়া করা বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন এবং ফলমুল, শুকনা খাবার ও নগদ টাকা দিয়ে আসেন এবং থাকার ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দেন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলন উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন অফিসার আরিকুল ইসলাম ও সমাজ সবা অফিসার কাঞ্চন কুমার দাস। তার পরের দিন শুক্রবার রাতে তার ছেলেরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাথে যােগাযােগ করে পিতামাতাকে নিয়ে যেতে চাইলে তার ছেলেদের বাড়িতে যেতে রাজী না হওয়ায় সেজো মেয়ে স্কুল শিক্ষকা খাদিজার বাড়িতে পাঠানো হয়েছে ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.