ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙ্গনে দিশেহারা হয়ে পরেছে কুড়িগ্রামের রৌমারীর হাজারো মানুষ

ভাঙ্গন রোধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ভুক্তভোগিরা

0 ৩৫৯

মাজহারুল ইসলা, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: রৌমারী উপজেলার চর শেীলমারী ইউনিয়নে আবারো তীব্র হয়ে উঠেছে নদী ভাঙ্গনের চিত্র। এতে করে দিশেহাড়া হয়ে পরেছে ঘুঘুমারী,বলদমারা, গ্রাম ব্রহ্মপুত্র নদের করাল গ্রাসে হারিয়ে যাওয়ার হাহাকার। বর্তমানের খবর নদী ভাঙ্গনে দিশেহাড়া হয়ে নারী পুরুষ সম্মিলিত ভাঙ্গন রোধে বিক্ষোভ সমাবেশ করে ভাঙ্গন কবলিতরা।

 

বর্ষা এলেই প্রতিবছর যেন ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনের ধারাবাহিকতা থেকেই যায়। দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলাধীন,কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার উপর দিয়ে আকাঁবাকা পথে বেয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্রনদসহ ১৫টি নদ-নদী রয়েছে।

 

যার বিশাল জলধারা নেমে আসে ভারতের আসাম রাজ্য থেকে । যাহা আঘাত হানে বাংলাদেশের উত্তর পূর্বঅঞ্চলটি হচ্ছে সীমান্তঘেষা রৌমারী-চর রাজিবপুরসহ দুটি উপজেলায়। এই উপজেলা দুটিতে প্রতিবছরই পাহাড়ী ঢল এসে এলাকার ঘরবাড়ীসহ পাশাপাশি কৃষকের ফসল তলিয়ে বিনষ্ট হয়ে যায়। এতে করে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি স্বাধন হতে দেখা যায়।

 

এ মৌসুমে টানা বর্ষণের ফলে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ব্রহ্মপুত্র নদে পতিত হয়ে নদী কূলীয গ্রাম গুলোতে ভাঙ্গনের তান্ডব চালায়। মূলত পাহাড়ী ঢল নামে বাংলাদেশ,ভারতের সীমান্ত পিলার হচ্ছে ১০৪৮ থেকে শুরু করে ১০৫২ সীমান্ত রেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে রোড ঘাট ছিন্ন হয়ে যায়। ব্রহ্মপুত্র নদে পতিত হয়ে ফুলেফুসে রৌমারী উপজেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়ে থাকে।

 

নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি ও কমে যাওয়ার সময় ২ দফা নদী কূলীয় গ্রাম গুলো ভাঙ্গনের মুখে পড়ে। এযেন শত বছর ধরে নিয়মে পরিণত হয়েছে। কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধির ফলে উলিপুরের সাহেবের আলগা, গেন্দার আলগা ও রৌমারীর ঘুঘুমারী গ্রামসহ দিশেহাড়া নদী ঘেষা মানুষ গুলো। ঔতিপূর্বে হাজার হাজার পরিবার ভিটেমাটি হাড়িয়ে সর্বশান্ত হয়ে বিভিন্নভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

 

তবে যে গ্রাম গুলো নদী গর্ভে বিলীনের পথে নদের তীরঘেষা মানুষ গুলোর দাবী আমরা সরকারের কাছে কিছুই চাইনা। শুধু বাপদাদার রেখে যাওয়া ভিটেমাটিতে কোনমতে খেয়ে পরে বেচে থাকতে সরকারের সহযোগিতার জোর দাবী জানিয়েছে তারা। ভেঙ্গে গেছে রৌমারী উপজেলার অসংখ্য ঘর বাড়ি, ফসলি জমি, গ্রামীণ সড়ক,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,ক্লিনিকসহ নানা স্থাপনা।

 

এব্যাপারে চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান দুলাল বলেন, চরশৌলমারী ইউনিয়নটি ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙ্গণে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে ঘুঘুমারীর পশ্চিম অংশে ব্রহ্মপুত্রের কোল ঘেষে শক্তিশালী বাঁধ নির্মাণ না করলে রৌমারী উপজেলা হুমকির মুখে পড়বে।

 

এবিষয় রৌমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন আমি নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি সরেজমিনে দেখেছি। সবকিছু হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এই এলাকার শতশত পরিবার। নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন শেখ আব্দুল্লাহ।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.