যারা মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছেন, তাদেরও বিচার হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

৯৪
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ সোমবার এক প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি : সংগৃহীত

মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের কারণে-অকারণে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার অবশ্যই বাংলার মাটিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সোমবার (৭ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গ আয়োজিত ‘৭ নভেম্বর: মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবসের প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কথায় কথায় মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা, রক্তের এই হোলি খেলা যারা করছেন তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এজন্য একটা তদন্ত কমিটি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন সবকিছু নিয়তান্ত্রিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলছেন, দেশকে যখন তিনি একটি উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে গিয়েছেন, যখন তিনি ন্যায়বিচার সুবিচার প্রতিষ্ঠা করছেন, তখনই তার বিরুদ্ধে আবারও ষড়যন্ত্র চলছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। তাদের ধারণা ছিল, বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার ধমনীতে প্রবাহিত হবে, তিনি বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড় করাতে পারবেন। তাদের ধারণা যথার্থই ছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা আবার ঘুরে দাঁড় করিয়েছেন বাংলাদেশকে।

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান বীরবিক্রম, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীরবিক্রমের কন্যা ও সংসদ সদস্য নাহিদ ইজাহার খান, শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীরউত্তমের কন্যা মাহজাবিন খালেদ, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, সশস্ত্র বাহিনীতে হত্যাকাণ্ড নিয়ে গবেষক আনোয়ার কবির প্রমুখ।

Comments are closed.