রাজশাহী সদর হাসপাতাল পরিদর্শনে এমপি বাদশা, সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস

0 ১৩১

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:  রাজশাহী সদর হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেটেড হিসেবে চালু করতে প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়ার পর সেটি বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানতে হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

শনিবার বেলা ১২টায় তিনি হাসপাতালটির বিভিন্ন ভবন ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দের কাছে সেটি চালুর সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। এসময় আগামী দুই মাসের মধ্যেই সদর হাসপাতাল চালু হবে বলে সংশ্লিষ্টরা তাকে অবগত করলে তিনিও এ কাজের জন্য তার পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

২০০৪ সালে বন্ধ হওয়া রাজশাহী সদর হাসপাতালকে পুনরায় চালু করতে শুরু থেকেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। এনিয়ে জাতীয় সংসদেও কথা বলেছেন একাধিকবার। স্থানীয় স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সভা-সেমিনারে হাসপাতালটি চালুর পক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন তিনি। তবে অতিতে কোনভাবেই এ বিষয়ে মাথা ঘামায়নি কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি রাজশাহীতে করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে রাজশাহী মেডিকেলে রোগীদের চাপ বাড়ায় সদর হাসপাতাল চালুর দাবিটি নতুন মাত্রা পায়। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রোগীদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ফের এ দাবি নিয়ে সরব হন এমপি বাদশা। গত ২২ মে তার সভাপতিত্বে জরুরি সভা ডাকা হয় রামেক হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের। ওই সভা থেকে তিনি লিখিতভাবে রাজশাহী সদর হাসপাতাল চালুর প্রস্তাব জানান। পরে তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগেও পাঠানো হয়। এর প্রায় দেড় মাসেই মধ্যেই সদর হাসপাতালকে কোভিড ডেডিকেটেড হিসেবে প্রশাসনিক অনুমোদনের ষোষণা আসে।

৪ জুলাই রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী হাসপাতাল চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে ১৫টি আইসিইউ বেডের সুবিধা নিয়ে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে রাজশাহী সদর হাসপাতাল চালু হতে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতির পর বাজেটও চলে এসেছে। প্রাথমিকভাবে হাসপাতালটি চালু করতে ব্যয় ধরা হয়েছে আড়াই কোটি টাকা। ১৫০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে করোনা রোগীদের জন্য থাকবে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা।

শামীম ইয়াজদানী আরও জানিয়েছিলেন, হাসপাতালের অধীনেই এটি পরিচালিত হবে। বর্তমানে পিডব্লিউডির অধীনে রাজশাহী সদর হাসপাতালের অবকাঠামো সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ শেষ হলেই হাসপাতালটি করোনা চিকিৎসার ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

হাসপাতাল পরিদর্শনকালে রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. কাইয়ুম তালুকদার, রাজশাহী গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.