রৌমারীতে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়ছে ব্রম্মপুত্র নদে

0 ৪৯৮

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: ভারি বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে ব্রম্মপুত্র নদে পানি বাড়ছে। ফলে বর্ষার শুরুতেই ব্রম্মপুত্র নদের পানি প্রখর স্রোতে রূপ ধারন করে ভাঙ্গনের ভয়ে এলাকাবাসী। এতে ব্রম্মপুত্র নদের আগাম ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা না নিলে বিলীন হয়ে যাবে ঘরবাড়ি জমিজমা। জলে ভেস্তে যাবে অসহায় দবিদ্র পরিবারের সম্পদ গাছপালা।

বুধবার ( ৫ জুলাই) বন্দবেড় ইউনিয়নের বলদমারা, বাইশ পাড়া, ও ফলুয়ারচর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ব্রম্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে। ফলে উপজেলার ঘুঘুমারী, চর ঘুঘুমারী, খেরুয়ারচর, খেদাইমারী, চর খেদাইমারী, সাহেবের আলগা, বলদমারা, বাইশ পাড়া, ফলুয়ারচর,যাদুরচরের দিগলা পাড়া, ধনারচর, রাজিবপুরের চর রাজিবপুর, কোদালকাটি ও মহনগঞ্জ ব্রম্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি পেয়ে কৃষকের চিনা, কাউন, তিল, মরিচসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হওায়ার উপক্রম হচ্ছে। সেই সাথে রাজিবপুরের মহনগঞ্জ, কোদালকাটি ব্রম্মপুত্র নদে ভাঙ্গনের দৃশ্য দেখা গেছে।

ব্রম্মপুত্র নদ পারের বসবাসরত বাসিন্দা আফসার আলী, জহির উদ্দিন, মোসলেম উদ্দিন, কাওসার আহমেদ, আবু বক্কর মাষ্টার, কুদুর ব্যাপারি, রাশেদ, লাল মিয়াসহ আরোও অনেকে বুকের মাঝে দুঃখ্য ও অঝরা কান্নার চোখে বলেন, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার ব্রম্মপুত্র নদে যে ভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদী ভাঙ্গন আগাম ভাবে ব্যবস্থা না নিলে নদী পারের মানুষ ভাঙ্গনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে শতশত বাড়িসহ আবাদি জমি। এতে জলে ভেস্তে যাবে হতদরিদ্র পরিবারের জমিজিরাত ঘরবাড়ি গাছপালা।

এ বিষয়ে বন্দবেড় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল কাদের সরকার বলেন, বর্ষাকাল এবং ব্রম্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগাম ভাবে ভাঙ্গন রোধে প্রশাসনের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। বন্যা শুরু হয়েছে। নদী ভাঙ্গণ শুরু হলে রক্ষা পাবে না এলাকাবাসী। এতে ক্ষতি হয়ে যাবে মানুষের ঘরবাড়ি ও জমাজমি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.