রৌমারীর যাদুরচর ডিগ্রী কলেজের কম্পিউটার শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভূয়া সনদে চাকুরির অভিযোগ -শিক্ষামন্ত্রনালয়

১৪৬

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ডিগ্রী কলেজে প্রভাষক (কম্পিউটার শিক্ষা) পদে আনসার আলীর বিরুদ্ধে ভূয়া সনদে তৎকালিন সময়ে ম্যানেজিং কমিটির যোগসাজশে চাকুরি ও এমপিও ভূক্ত হয়ে সরকারী বেতনভাতা গ্রহনের অভিযোগ।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, যাদুরচর ডিগ্রী কলেজে প্রভাষক (কম্পিউটার শিক্ষা) পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিলে আনসার আলী ২১ ডিসেম্বর ২০০১ সালে আবেদন করেন। নিয়োগ পরিক্ষার মধ্যমে ১৪ জানুয়ারী ২০০২ সালে প্রভাষক (কম্পিউটার শিক্ষা) পদে নিয়োগ পান। আবেদনের ক্ষেত্রে কম্পিউটার বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্স সনদ প্রয়োজন। কম্পিউটার পদে কম্পিউটার কোর্সের সনদ ছাড়া আবেদ করতে পারবে না। আনসার আলীর কম্পিউটার ডিপ্লোমা কোর্স সনদ ইস্যূ হয়েছে ১১ মার্চ ২০০২ সালে।

ফলে আবেদনের সাথে তার কম্পিউটার ডিপ্লোমা কোর্স সনদ ছিল না। আইনত তার আবেদন বাতিল বলে গন্য এবং তার নিয়োগ অবৈধ। পরবর্তীতে তার কম্পিউটার ডিপ্লোমা কোর্স সনদটিতে বিসিই এর ইয়থ ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, রংপুর লেখা থাকলেও এ নামের কোন ঠিকানা খুজে পাওয়া যায় নি। এ নামের ঠিকানায় বিসিই অনুমোদনকৃত নুরুল ইসলাম যুবো উন্নয়ন সোসাইটি প্রতিষ্ঠান ছিল। সেখানে অনুমোদিত আর অন্য কোন প্রতিষ্ঠান ছিল না। তৎকালিন সময় ম্যানেজিং কমিটির সাথে যোগসাজশে কম্পিউটার পদের সনদ যাছাই বাছাই ছাড়াই চাকরি দেওয়া হতো বলেই ভূয়া সনদটি ধরা পড়ে নি বলে অভিযোগ।

ফলে ভূয়া সনদ দেখিয়ে এ চাকুরি করছেন প্রায় ১৯ বছর যাবত। সরকারী অনুদান ভূক্ত হয়ে প্রতিমাসে সরকারি কোষাগার থেকে তুলছেন প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা বেতনভাতা গ্রহন করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ শিক্ষকের ভূয়া সনদ দিয়ে চাকুরি নিয়ে সরকারি অর্থ নেয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অধিনস্থ পরিদর্শন ও নিরীক্ষাদের সু-দৃষ্টি দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে প্রভাষক আনসার আলী জানান, আমার কম্পিউটার সনদ কোন অনিয়মের নয়। বলা হয়েছে কম্পিউটার প্রশিক্ষনের কোন ঠিকানা নাই, এটাও সত্য নয়। আমি ঐ সময়ে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে যে সনদ দিয়ে তারা আমাকে চাকুরি দেয়েছে, তা সঠিক ছিল।

এ বিষয়ে যাদুরচর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম এর কাছে প্রভাষক আনসার আলীর কম্পিউটার ভূয়া সনদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করেন। এর বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের মহাপরিচালক বরাবরে সনদ যাছাইয়ের আবেদন করা হয়েছে।

Comments are closed.