শাবনাজকে এখনো যে নামে ডাকেন নাঈম

0 ১৬৩
ছবি: সংগৃহীত

রুপালি পর্দায় দীর্ঘ দেড় দশকের বেশি সময় ধরে নেই নব্বই দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনাজ। ঢালিউডে এই অভিনেত্রীর অভিষেক ঘটে প্রখ্যাত পরিচালক এহতেশামের সিনেমা ‘চাঁদনী’ দিয়ে ঢালিউডে। তিনি বেশ কিছু ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকতেই বিদায় নেন সিনেপর্দা থেকে।

বিয়ের পর থেকে স্বামী, সংসার ও সন্তান নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। সিনেমার পাশাপাশি নাটকেও অভিনয় করেছিলেন শাবনাজ। এখন আর কোথাও দেখা যায় না তাকে। বিয়ের পর দুই বছর ছবিতে অভিনয় করেন শাবনাজ।

এদিকে দুজনের বিয়ের পর নাঈমের বাবা মারা যান। এতে ভীষণ ভেঙে পড়েন নাঈম। সে সময়টায় শাবনাজকে স্বামীর পাশে থাকতে হতো সবচেয়ে বেশি।

সম্প্রতি গণমাধ্যমকে শাবনাজ বললেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠেই ময়না, ময়না (শাবনাজকে ময়না বলে ডাকেন নাঈম) বলে ডাকাডাকি করে অস্থির করে ফেলত নাঈম। আমাকে ওর সামনে বসে থাকতে হতো। আমার সঙ্গটা তখন ওর বেশি দরকারও ছিল। আমরা অনেক গল্প করতাম, আড্ডা দিতাম। নাঈম কাজও কমিয়ে দেয়। আমিও হাতে থাকা কিছু ছবির কাজ করে নিজেকে গুটিয়ে নেই।’

মূলত, ‘বিষের বাঁশি’ নামের ছবিতে শাবনাজের চরিত্রের নাম ছিল ময়না। এই ছবিতে কাজ করতে গিয়েই দুজনের প্রেমের শুরু। তাই শাবনাজকে এই নামেই ডাকা শুরু করেন নাঈম। শাবনাজের কথায়, ‘যেহেতু আমাদের প্রেমের শুরু এই ছবিতে, তাই নাঈম আমাকে ওই নামে ডাকে। এখনো ওই নামে সে আমাকে ডাকে।’

চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটার পর পরবর্তী পাঁচ বছর একটানা ২৬টি ছবিতে অভিনয় করেন শাবনাজ। ‘চাঁদনী’ ছাড়া অন্য ছবিগুলো হচ্ছে ‘দিল’, ‘জিদ’, ‘আনজুমান’, ‘লাভ’, ‘চোখে চোখে’, ‘টাকার অহংকার’, ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’, ‘সোনিয়া’, ‘অনুতপ্ত’। এসব ছবিতে নাঈম ছাড়াও ইলিয়াস কাঞ্চন, বাপ্পারাজ, সালমান শাহ, অমিত হাসান, মান্নারা ছিলেন তার সহশিল্পী।

শাবনাজ অভিনীত বেশির ভাগ ছবিই ছিল প্রেমের গল্পের। মনে মনে শাবনাজ বৈচিত্র্যময় গল্পের খোঁজে ছিলেন। কিন্তু কেউ শিল্পীর মন বুঝতে পারেননি। তাই ধীরে ধীরে নিজেকে সরিয়ে নিতে থাকেন।

শাবনাজ বলেন, ‘একঘেয়ে গল্প। সবই প্রেমের। আমি শুধু নায়িকা হয়ে থাকতে চাইনি, শিল্পী হতে চেয়েছি। তাই বৈচিত্র্যময় গল্প খুঁজছিলাম, পাইনি। একজন অভিনয়শিল্পী মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকেন অসাধারণ চরিত্র হয়ে।’

২০০৭ সালে সর্বশেষ শাবনাজকে দেখা গেছে আজিজুর রহমান পরিচালিত ‘ডাক্তার বাড়ি’ ছবিতে। বরেণ্য অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের অনুরোধে ছবিটিতে অভিনয় করতে রাজি হন তিনি। এরপর থেকে পুরোপুরি আড়ালে চলে যান। বর্তমানে স্বামী, সন্তান ও সংসার নিয়েই সুখে আছেন অভিনেত্রী। অভিনয়জীবন নিয়ে নেই কোনো আক্ষেপ। ফেরার চিন্তাও করেন না তিনি।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.