শাহজাদপুরে মৌ মৌ গন্ধ ছড়াচ্ছে আমের মুকুল

0 ৮৩
শাহজাদপুর  (সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধি: “আগুন ঝরা ফাগুন এলে, আমের বনে মুকুল মেলে,মুকুল নাকি ঝরা-বাতি। সবাই করে ভুল, ভুল করো না ও মশায় আর।আর করোনা গোল,এই আমাদের ফলের রাজা,আমের-ই মুকুল”। তেমনি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গ্রামগঞ্জের যেদিকে তাকানো যায়।
আম গাছের মুকুল যেন মৌ মৌ গন্ধ ছড়াচ্ছে মৌমাছিরা যেন গাছে গাছে আনাগোনা করছে।মৌমাছির বোঁ বোঁ শব্দে  মানুষকে মনে করিয়ে দিচ্ছে এ যেন ফালগুন মাস। ফাল্গুন মাসে মৌমাছির আনাগোনা বেশি দেখা যায়।ছোট পাখিরাও মুকুলে বসেছে মনের আনন্দে।এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের আম গাছে। এবং আম গাছের মুকুলের যে একটি গন্ধ সেটি এই ফাল্গুন মাসে পাওয়া যায়।
  সরেজমিন ঘুরে দেখা য়ায়, উপজেলার গাঁড়াদহ ইউনিয়নের তালগাছি বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের পূর্ব পাশে কয়েকটি আম গাছে ভরপুর মুকুল এসেছে। এছাড়াও পোরজনা, জামিরতা, কৈজুরি, বাঘাবাড়ি, কাশিনাথপুর, ব্রজবালা, নরিনা, সাতবাড়িয়া  এলাকার অনেক বাড়ির আঙিনায়।
উপজেলার গাঁড়াদহ গ্রামের মুকুল চন্দ্রশীল ও কাসেম ব্যাপারি জানান,তার বাড়িতে ১০ টি আমগাছ আছে। আম গাছের মুকুল দেখে তার মনে অন্যরকম  আনন্দ অনুভব করছে। তিনি আরো  জানান আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ঝড় বৃষ্টি না হলে এবার আমি আলোর মুখ দেখতে পাবো। এবং আম চাষিরা অনেক লাভবান হবে।
শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জেরিন আহমেদ বলেন,উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামে প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় আম গাছ আছে।এবার আবহাওয়ার কারণে আম গাছে আগাম মুকুল ফুটেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে মুকুলগুলো নষ্ট হবার সম্ভাবনা নেই। ভালোভাবে পরিচর্যা করা হলে ফলন ভালো হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, যদি কেউ বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ করতে আগ্রহী থাকে তাহলে উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করলে তাকে উপজেলা কৃষি অফিস সুপরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.