সংবাদ প্রকাশের পর সেই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

0 ১১২
সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নওগাঁর সাপাহারে মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসাইন আহম্মেদ (বুলু)’র বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। গত ৬ মার্চ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে একটি লিখিত আবেদন করেন ম্যানেজিং কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রহিমুদ্দীন। পরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব পান উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রোস্তম আলী।
ম্যানেজিং কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রহিমুদ্দীন বলেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার বিদ্যালয়ে এসে আমার প্রদান করা অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করে গেছেন। তিনি, কমিটি সদস্য, অভিভাবক ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। তদন্ত শেষে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমাকে আশ্বস্থ করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হোসাইন আহম্মেদ বুলুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, “সরকারী শিক্ষা অফিসার তদন্ত করতে এসেছেল। তিনি, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অভিভাবকদের কাছে থেকে আলাদা ভাবে লিখিত মতামত নিয়েছেন।”
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রোস্তম আলী বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে ভুলবুঝাবুঝি হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয়দের কাছে থেকে প্রধান শিক্ষক হোসাইন আহম্মেল (বুলু)’র বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনে প্রধান শিক্ষক হোসাইন আহম্মেদ (বুলু) কে বদলী করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তৃষিত কুমার চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি তদন্ত শুরু করেছেন। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, উপজেলার মির্জাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসাইন আহম্মেদ (বুলু)’র বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেন, ম্যানেজিং কমিটি কে কিছু না জানিয়েই নিজের খেয়াল মতো কার্যক্রম পরিচালনা করা, বই বিক্র করা, আম বিক্রি করা, ম্যানেজিং কমিটিতে না জানিয়ে সরকারী স্লিপের টাকা নিজ মনমতো খরচ করা সহ নিজের মন মতো প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার অভিযোগ উঠে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.