সিরাজগঞ্জ ক্রসবারের উপকারভোগী মানুষের সংখ্যা সাড়ে ছয় লাখ

0 ৮৮

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় যমুনা নদীর বাঁধের নাম ক্রসবার। এই ক্রসবারের উপকারভোগ করছে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষ। ক্রসবার হওয়ার আগে নদী ভাঙ্গণে এই এলাকার মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে এক সময় দূর্বিসহ জীবন যাপন করত। মানুষের দুঃখকে লাঘব করতে সরকার এ এলাকায় ক্রসবার তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেণ।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্যাপিটাল (পাইলট) ড্রেজিং অব রিভার সেস্টেম ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় জুলাই ২০১৩ থেকে শুরু হয়ে জুন ২০১৭তে গিয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। প্রকল্পের ব্যয় হয় ২৪৫২৪. ৬০ লাখ টাকা।

এ প্রকল্পটিকে চারটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ক্রসবার-১ যার প্রতিরক্ষামূলক দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১৩৬৮ মিটার, ক্রসবার-২ যার প্রতিরক্ষামূলক দৈর্ঘ্য ১০৫৭, ক্রসবার-৩ যার প্রতিরক্ষামূলক দৈর্ঘ্য ১৭৯৮, ক্রসবার-৪ যার প্রতিরক্ষামূলক দৈর্ঘ্য ১০৮০ মিটার।

এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল ড্রেজড স্পয়েল দ্বারা নির্মিত চারটি ক্রসবার নির্মাণের মাধ্যমে নদীর গতিপথ পরিবর্তন ঘটিয়ে ও জরাবৎ নবফ বৎড়ংরড়হ রোধ করে সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্ট ও বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম গাইড বাঁধ যমুনা নদীর ভাঙন থেকে ঝুঁকিমুক্ত করা।

যমুনা নদীর ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত উৎবফমবফ ঊধৎঃয সিরাজগঞ্জ হার্ডপয়েন্টের উজান ও ভাটিতে নদীর তীর সংলগ্ন নিচু স্থানে ও উপযুক্ত স্থানে ফেলে ক্রসবার নির্মাণের মাধ্যমে ভূমি পুনরুদ্ধার করা। ভূমির কমান্ড এরিয়ার ১,৫০,০০০ হেক্টর।

ক্রসবার তৈরির ফলে এ এলাকায় নদীভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এখানকার মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন ঘটেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাকৃতির মনোরম পরিবেশ উপভোগ করার জন্য প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে সহ¯্র ভ্রমণ পিয়াসু মানুষ এখানে ঘুরতে আসে।

ক্রসবার নির্মাণের ফলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এখানে প্রচুর বাতাসের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বায়ুকল (ইউন্ডমিল) স্থাপন করা হয়েছে।

এখানকার স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় সরকারের এই সঠিক উদ্যোগ তাদের এলাকার চিত্র ব্যাপক পরিবর্তন করেছে। স্থানীয় লোকজন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

Leave A Reply

Your email address will not be published.