হাওরের ৪১ শতাংশ বোরো ধান কাটা শেষ : কৃষি মন্ত্রণালয়

১৬৪
কিশোরগঞ্জে হাওরে পানি বাড়তে থাকায় বাধ্য হয়ে জমির আধপাকা ধান কেটে ফেলছেন কৃষক।

হাওরের ৪১ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জে ৩৮ শতাংশ, নেত্রকোনায় ৭৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৯, সিলেটে ৩৭, মৌলভীবাজারে ৩৬, হবিগঞ্জে ২৫ ও সুনামগঞ্জে ৪২ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, এ বছর দেশের হাওরভুক্ত সাতটি জেলা—কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের হাওরে বোরো ধান আবাদ হয়েছে চার লাখ ৫২ হাজার ১৩৮ হেক্টর জমিতে। আর নন-হাওরে আবাদ হয়েছে চার লাখ ৯৮ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে। মোট (হাওর ও নন-হাওর মিলে) আবাদ হয়েছে নয় লাখ ৫০ হাজার ৩১৮ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে নয় হাজার ৭০০ হেক্টর জমির ধান অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে আক্রান্ত হয়েছে, যা মোট আবাদের শতকরা এক ভাগ। এদিকে, অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও বৈরি আবহাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ৮০ শতাংশ পাকলেই হাওরের ধান কাটার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া, পাকা ধান দ্রুততার সঙ্গে কাটার জন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য জেলা থেকেও নিয়ে আসা হয়েছে। এ মুহূর্তে হাওরে প্রায় এক হাজার ৭০০ কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার ধান কাটার কাজে রয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ১০০ কম্বাইন হারভেস্টার স্থানীয় আর ৩৫০টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার বহিরাগত বা অন্যান্য জেলা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।

Comments are closed.