ওষুধের সাথে যেসব খাবার নিষেধ

0 ৫৯৭

‘আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়া হয়ে মানুষ মারা যায়’, এটা এক ধরনের ফুড ট্যাবু বা খাদ্য কুসংস্কার হলেও বেশ কিছু রোগের ওষুধ গ্রহনের পরে কিছু নির্দিষ্ট খাবার গ্রহনের নিষেধ আছে। ওষুধ সুস্থ করবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু তার পাশ্বপ্রতিক্রিয়া আছে যা খাদ্যাভাসে বেশ গুরুত্ব বহন করে৷ যা অনেক সময় ব্যাক্তিকে অসুস্থ করে তোলে। তেমনি কিছু খাবারের কথা জানবো…

 ৥ অ্যান্টিবায়োটিক আর দুধ: দুধ খুব উপাদেয় খাবার হলেও, যখন আপনি অ্যান্টিবায়োটিক নিবেন তখন এই খাবারটি এড়িয়ে চলুন। দুধের বিশেষ কিছু উপাদান ক্যালশিয়ামের সাথে মিশে দানা বা জট হয়ে যায়৷ ফলে তা পেটের মাধ্যমে রক্তে প্রবেশ করতে পারে না৷ তাই অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে দুধ খাওয়া উচিত নয়৷ তবে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার দু’ণ্টা আগে বা পরে দুধ পানে বাধা নেই৷

৥ রেডিমেড মাংসের সাথে ডিপ্রেশনের ওষুধ: তৈরি মাংসের খাবারে মূলত প্রচুর পরিমাণে টিরামিন থাকে। তাই যারা বিষণ্ণতায় ভোগেন এবং সে রোগের জন্য ওষুধ গ্রহন করেন, তাদের এসব খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো৷ কারণ তা সুস্থ হওয়া দীর্ঘায়িত করে এবং এতে উচ্চরক্তচাপও হতে পারে৷

৥ অ্যাজমার ওষুধ আর গোলমরিচ: যাদের অ্যাজমা বা হাঁপানির আছে, তারা চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে গোলমরিচ পরিহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ৷ কারণ গবেষণায় বলছে, গোলমরিচের ঝাঁঝ অ্যাজমার ওষুধের কর্মক্ষমতা কমিয়ে তার গতিও ধীর করে দেয়৷ তাই যাদের হাঁপানি আছে, তারা গোলমরিচ এড়িয়ে চলুন৷

 ৥ সেরিয়ালের সাথে ‘প্যারাসিটামল’: সেরিয়াল বা বিভিন্ন দানায় থাকা আঁশ ব্যথার ওষুধকে ভালোভাবে কাজ করতে দেয় না। শুধু তাই নয়, একই সাথে অনেক বাঁধার সৃষ্টি করে৷ অর্থাৎ পেট বা অন্ত্রকে দমন করে থাকে সেরিয়াল৷ তাই শষ্যদানা, আঁশ জাতীয় খাবার কোনো ব্যথার ওষুধের সাথে খাবেন না।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.