তা সত্বেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না তাঁর৷ হঠাৎ অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে শুরু হয়ে জল্পনা৷ প্রশ্ন উঠছে, চাপের মুখেই কি নেতৃত্ব থেকে সরে গিয়েছেন ধোনি? অনেকেই মনে করছেন, নানা দিক থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল মাহিকে। সেকারণেই এক দিনের এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন রাঁচির রাজপুত্র। অবশ্য মিডিয়ার এই বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলেই উড়িয়ে দিচ্ছেন জাতীয় নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান এমএসকে প্রসাদ। তিনি পরিস্কার বলছেন, ‘যে খবরগুলো বেরিয়ে আসছে তা পুরোপুরি মিথ্যে। নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ার জন্য ধোনিকে কোনওরকম চাপ দেওয়া হয়নি। সিদ্ধান্তটা একান্তই ধোনির। বর্তমানে তিন ঘরানার ক্রিকেটেই দেশকে নেতৃত্ব দেবে বিরাট কোহলি। ওর জন্য রইল শুভেচ্ছা।’
মিডিয়ার একটা মহল থেকে দাবি করা হয়, নির্বাচকরাই ধোনিকে নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়ার কথা বলেন। নাগপুরে ঝাড়খণ্ড–গুজরাট রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনাল চলার সময় ধোনির সঙ্গে নাকি দেখা করেছিলেন নির্বাচক কমিটির প্রধান এমএসকে প্রসাদ। গত সেপ্টেম্বরেই নাকি ঠিক হয়ে গিয়েছিল যে এবার ধোনিকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। নাগপুরে ধোনিকে বলা হয় ২০১৯ বিশ্বকাপের সময় তাঁর বয়স হবে ৩৯। তখন কি তিনি দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন? তার চেয়ে এখনই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিন। এরপরই নাকি নেতৃত্ব থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মাহি। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের যাবতীয় দাবিকে উড়িয়ে দিলেন প্রসাদ৷