চিকিৎসকরা বলছেন, ওধুষ দিয়ে নয়, এসব ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন ও নিয়মিত ব্যায়াম অপরিহার্য। তবে টাইপ-১ রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক কম। যাদের শরীরে ইনসুলিন একেবারেই তৈরি হয় না। এ রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি পরিবারকে প্রশিক্ষিত করা প্রয়োজন বলেও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।
১৪ নভেম্ববর, বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। “আসুন, পরিবারকে ডায়াবেটিসমুক্ত রাখি”- শ্লোগানকে সামনে রেখে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন হয়।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্তত ১৭০টি দেশে প্রতিবছর ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়। ডায়াবেটিস সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টিই এই দিবসের মূল লক্ষ্য। আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) এবার পরিবারে সদস্যদের ডায়াবেটিস থেকে বাঁচাতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
আইডিএফ-এর গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে গোটা বিশ্বে ৪২ কোটিরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিস আক্রান্ত। যেখানে টাইপ-২ ৭০ শতাংশ। ফলে এখনই ডায়াবেটিস সম্পর্কে গণসচেতনা সৃষ্টি না করলে ২০৪০ সাল নাগাদ বিশ্বে এই রোগীর সংখ্যা ৬৪ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে কম সিলেটে। ডায়াবেটিস সম্পর্কে জানাশোনা আছে ৭০ শতাংশ মানুষের। যাদের মধ্যে ৩৯ শতাংশ মানুষ এ বিষয়ে ভালো ধারণা রাখেন।
১ লাখ মানুষের ওপর চালানো ওই গবেষণায় দেখা যায়, গর্ভবতী নারীদের মধ্যে ২৬.৪ ভাগ নারী ডায়াবেটিস আক্রান্ত। তাদের মধ্যে ১৫ শতাংশের এক বছরের মাথায় ডায়াবেটিস হচ্ছে। পরিকল্পিত গর্ভধারণ ও গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে গর্ভজাত শিশুও টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে।