প্রতিদিন সকাল ৬টায় বাসা থেকে মটরসাইকেলে করে ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। টিএসসিসিতে এসে প্রায় দেড় ঘন্টায় রান্না শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় কুকুর, বিড়ালগুলোকে খাওয়ান। এর মধ্যে টিএসসিসি, রাকসু ভবন, ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ কলা ভবন, শহীদ মিনারসহ প্রায় ১৫ জায়গায় ঘুরে ঘুরে ক্যাম্পাসের প্রায় ৫০টি কুকুরকে খাবার দেন তিনি। এরই মধ্যে পশু পাখির সাথে সখ্যতা গড়ে উঠেছে। এমন হয়েছে যে, ডাবু, লালু, শেফালিসহ নানা নামে ডাকলেই কাছে চলে আসছে প্রাণীগুলো।
এমন উদ্যোগের বিষয়ে গাজিউল বলেন, একদিন ঝিরঝিরে বৃষ্টির সময়ে একটি মেয়েকে মেরুদ- ভাঙা অসুস্থ একটি কুকুর ছানাকে ভাগাড়ে রেখে যেতে দেখলাম। শীতে বাচ্চাটি কাঁপছিল। পরে ভাবলাম, এই পশুগুলোরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। এদেরকে সবাই যদি তাড়িয়ে দেয় তাহলে যাবে কোথায়। এরপর তিনি কুকুরের বাচ্চাটিকে বাসায় নিয়ে চিকিৎসা করান।
খরচের যোগান সম্পর্কে তিনি বলেন, করোনার আগ পর্যন্ত নিজের মাসিক বেতনের প্রায় অর্ধেক খরচ হয়ে যেত এইসব প্রাণীদের পেছনে। করোনা শুরুর ৩ মাস পর হঠাৎ দেখা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহার সাথে। সেই থেকে অধ্যাপক সাহা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছেন বলে জানান তিনি।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান, টিএসসিসির পরিচালক অধ্যাপক ড. হাসিবুল আলম প্রধান ও সহকারী পরিচালক আহসান হাবীব, রবীন অনেকেই কাজগুলো দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁকে।
গাজিউল ইসলাম মনে করেন, মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। এসব প্রাণীদের দেখভাল করার জন্য সৃষ্টিকর্তা দায়িত্ব দিয়েছেন। বিবেকের দায় থেকেই কাজটি করি। আর এটাই ভালো লাগে।