একজন প্রবীণ গ্রামবাসী বলেন, বিষাক্ত পানি শুধু মানুষ নয়, পশুদেরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। মিঃ টায় চেং নামের গ্রামের এক শিক্ষক বলেন, লোকেরা ২০০৩ সাল থেকে এই কৃষিজমি দখল করে এখানে বসবাস করছে আর সোনার খনির কোম্পানি ২০১৫ সালে এখানে এসেছিল। ডেলকম কম্বোডিয়া পিটিই লিমিটেডকে যে পরিমান জমিতে বিনিয়োগ করার অধিকার দিয়েছে বর্তমানে কোম্পানিটি তাঁর কয়েকগুন বেশি জমি দখল করে আছে। কোম্পানিটি ইতিমধ্যে ৬১ হেক্টর জমি দখল করেছে। সেগুলোর মধ্যে মোট ৬১ হেক্টর জমির জন্য ১১ হেক্টর কৃষিজমি এবং আরও ৫০ হেক্টর রোমডেং গ্রামবাসীর সংরক্ষিত বন রয়েছে।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনঃ https://youtu.be/Wcjhhe26jtM
অধিকার গ্রুপ অ্যাডহক -এর প্রাদেশিক সমন্বয়কারী মিঃ লর চ্যানও সোচ্চার এর বিরুদ্ধে, “কোম্পানী জমি দখল করে এমনকি গ্রামবাসীদেরও জমি চাষাবাদ করতে নিষেধ করে দেয় যদিও তাদের জমি বৈধ। আমি লক্ষ্য করেছি, সম্প্রতি সোনার খনির কোম্পানি আরও ২০টি পরিবারের জমি দখল করে নিয়েছে। আর কোম্পানির লোকজনের জমি দখলের ঘটনা এই এলাকায় নিয়মিত ঘটনা, এটা পরের দিন ওই এলাকায় এবং অন্যান্য এলাকায়ও চলতে থাকে।
সুতরাং, আশেপাশে বসবাসকারী লোকেরা তাদের প্রভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্বর্ণ খনির কোম্পানিগুলো রাসায়নিক ব্যবহার করে পরিবেশের ক্ষতি করছে। অতীতে, কোম্পানীটি বর্জ্য রাসায়নিক নিকটবর্তী খালের দিকে দিয়েছিল, যা মানুষের ব্যবহারযোগ্য পানির পাশাপাশি পশুদের স্বাস্থ্যও বিপন্ন করেছিল।“ মিঃ লর চ্যান আরও বলেন,“আমরা স্বীকার করছি যে প্রতিটি উন্নয়নের একটি প্রভাব আছে কিন্তু এখানে যে প্রভাব পড়ছে তা আমাদের জাতির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।”