‘পিতার মতোই শেখ হাসিনা সর্পিল ও কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করছেন’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা সর্পিল ও কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করে এসেছেন পিতার মতোই। নিজের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য নয়, শেখ হাসিনা কষ্ট করেন মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য। পিতার মতোই মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছেন।’

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

কাদের বলেন, ‘বর্তমানের সমস্যা আওয়ামী লীগের সৃষ্টি নয়। সমস্যা সৃষ্টি করেছে বড় বড় দেশ, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এরা নিজেরা নিজেদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। সারাবিশ্বের এই অবস্থায় বাংলাদেশ যখন বিপদে, শেখ হাসিনা তখন পরিস্থিতি দারুণভাবে সামাল দিচ্ছেন। যারা সমালোচনা করছেন তারা কি ক্ষমতায় থাকলে এই পরিস্থিতি সামলে দিতে পারতেন?’

তিনি বলেন, ‘যতই বিষোদগার করেন, যতদিন বাংলায় পাখিরা গান গাইবে, নদীর কলতান থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনা থাকবেন। একজনকে বাঙালির স্বাধীনতার জন্য, আরেকজনকে বাঙালির মুক্তির জন্য বিধাতা পাঠিয়েছেন। শেখ হাসিনাও হয়তো মারা যাবেন, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর লিগ্যাসি থেকে যাবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কানাডার আদালতে বিএনপির কর্মী রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিল। কিন্তু সেদেশের আদালত বলেছিল বিএনপি টেরোরিস্ট সংগঠন। এই সংগঠনের কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া যাবে না। বিএনপির হাত থেকে সাংবাদিকরাও রেহাই পাচ্ছে না। বিএনপি যেমন দল তেমন কর্ম করছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা যুবলীগের কার্যক্রমে খুশি। যুবলীগ সাংস্কৃতিকে রাজনীতির মিশেলে দারুণ অনুষ্ঠানসূচি আয়োজন করেছে। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে যুবলীগ প্রতিনিয়তই বিক্ষোভ মিছিল করেছে।’

এ সময় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিলসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।