নির্বাহী অফিসার মোঃ ওলিউজ্জামান বলেন, নববর্ষের দিনে তাকে করোনার হতাশা থেকে মুক্ত করে নতুন এক জীবনের আশা জোগানোর জন্য এই উদ্যোগ। ইতোপূর্বেও আমরা তাকে প্রায় ৫০ কেজি চাল, ডাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পৌঁছে দিয়েছি। এবং ১২ এপ্রিল বিকাল ৫টার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি পেশায় দর্জি ওই ব্যক্তির উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় সংক্রামক ব্যাধি কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) পজিটিভ পাওয়া গেছে। সংবাদ পাওয়ামাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পুঠিয়ার আরএমও ডা. মঞ্জুর ও পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রেজাউল ইসলামকে নিয়ে তার বাড়ির কাছে উপস্থিত হই। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে তার বক্তব্য নেওয়া হয়। তার বোন ও সংশ্লিষ্ট সবার বক্তব্য শোনার পরে এবং সকল তথ্য যাচাই বাছাই শেষে প্রতীয়মান হয় , করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে তার বোনের ঘর এবং সংস্পর্শে আসা ও নিকটবর্তী মোট ৪০টি পরিবার ও ৩টি প্রতিষ্ঠান লকডাউনের আওতাভুক্ত করা জরুরী। তারই পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক ১৩ এপ্রিল একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে উল্লেখিত ৪০টি পরিবার ও ৩টি প্রতিষ্ঠান লকডাউন ঘোষণা করেন। পুঠিয়া উপজেলা প্রশাসন তার পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।