ত্বকের যত্ন
শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ত্বক স্বাভাবিক ভাবে আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। তাই এ সময়ে ময়েশ্চারাইজিং যুক্ত সাবান ব্যবহার করুন। রোজ গোসলের পর ও রাতে ঘুমানোর আগে ময়েশ্চারাইজিং লোশন ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের খসখসে ভাব দূর হবে, ত্বক ফাটবেও না বরং ত্বক মসৃণ ও কোমল হয়ে উঠবে। বাইরে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ক্রিম মুখ লাগিয়ে রোদে বের হবেন। এতে আপনার ত্বক বাইরের ধুলাবালি থেকে রক্ষা পাবে ও বলিরেখার হাত থেকে রেহাই পাবে।
এছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান, কোল্ড ক্রিম,ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ও লোশন ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে চেহারার সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে, ত্বক থাকবে সজীব ও সতেজ।
মধু ও পাকা কলা
মধু ও পাকা কলা একসাথে ব্লেন্ড করে ঘন পেস্ট তৈরী করে মুখে লাগিয়ে ২০-২৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন এবং ময়েশ্চারাইজ লাগান। নিয়মিত এটি ব্যবহারে ত্বক আর্দ্রতা ফিরে পাবে, হয়ে উঠবে নরম ও কোমল। দুধের সর কিংবা অন্যান্য প্যাকের সাথেও মধু ব্যবহার করতে পারবেন।
শসা ও টমেটো
১ টেবিল চামচ শসার রস ও ১ চা চামচ টমেটোর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত মুখে ব্যবহার করুন। এটি শুষ্ক ত্বককে মসৃণ ও সুন্দর করে তুলবে। শসা চাকা চাকা করে কেটে চোখের উপরে লাগিয়ে রাখুন, চোখের নিচে কালো দাগ দূর হবে এবং ডার্ক সার্কেল চলে যাবে।
অলিভ অয়েল
সাধারণত সব ধরণের ত্বকের জন্য অলিভ অয়েল খুবই উপকারী। গোসলের আগে মুখে ও শরীরে অলিভ অয়েল লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর গোসল করে ফেলুন। এছাড়া অলিভ অয়েল ও মধু মিশিয়ে হালকা মিশ্রণ তৈরী করে মুখে লাগান। এতে আপনার মুখের মৃত কোষ উঠে যাবে।
শীতে বিশেষ করে ছেলেদের ত্বক হয় বেশি রুক্ষ ও খসখসে। ফলে ত্বক ফেটে যায়। বাইরের ধুলাবালি আর ত্বক তৈলাক্ত হওয়ায় অনেকেরই মুখে ব্রণ উঠে। এই সব সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজ ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন এবং অয়েল কন্ট্রোল ফেসওয়াশ ব্যবহার করে ব্রণের সমস্যা দূর করতে পারেন।
হাত-পায়ের যত্ন
শীতে হাত-পা ফেটে যাওয়া অস্বাভাবিকের কিছু না। এ সময়ে হাত অমসৃণ ও খসখসে হয়ে থাকে, হাতের কনুই,পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। তাই হাত ও পায়ে গ্লিসারিন,পানি ও গোলাপজল মিশিয়ে ব্যবহার করলে ফাটা ভাব চলে যাবে ও মসৃণতা ভাব ফিরে আসবে। এছাড়া হাত ও পায়ে লোশন ব্যবহার করতে পারেন।
ঠোঁটের যত্ন
শীত আসতে না আসতেই ঠোঁটের চামড়া ঊঠতে শুরু করে,ঠোঁট ফেটে যায় আবার অনেক সময় ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হয়। এই শীতে ঠোঁট কে নরম, সতেজ ও কোমল রাখতে ভ্যাসলিন,গ্লিসারিন অথবা পেট্রোলিয়াম জেলী ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঠোঁট নরম থাকবে।