অ্যাড. বেলালকে আহ্বায়ক করে তাপসের নির্বাচনী প্রচারণায় যুবলীগ

0 ৪০০

বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: যুবলীগের বিগত কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেনকে আহ্বায়ক করে ঢাকার দক্ষিণ সিটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ কার্যক্রম পরিচালনা করছে যুবলীগ।

এরই মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী এলাকাকে আটটি জোনে ভাগ করে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো নৌকার পক্ষে ভোটারদের দরজায় যাচ্ছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

এই আটটি নির্বাচনী জোনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুবলীগের বিগত দিনের পরীক্ষিত নেতারা। এই আট জোন থাকা ৭৫টি ওয়ার্ড, ২৪টি থানা এবং ১১৫৫টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রকে ঘিরে মাঠ পর্যায়ে যুবলীগ ১৬ জন সমন্বয়কের নেতৃত্বে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার তৈরিতে অব্যাহত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। নির্বাচন পরিচালনা এ কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন বিগত কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ।

যুবলীগের এমন সাংগঠনিক তৎপরতা সম্পর্কে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমাদের দলের প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি আমাদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির কনিষ্ঠ পুত্র। আর বর্তমানে যুবলীগে আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের জেষ্ঠ্য পুত্র শেখ ফজলে শামস পরশ। শেখ ফজলে নূর তাপস একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী, ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের পরপর তিনবার নির্বাচিত সফল সংসদ সদস্য। আর যেহেতু ফজলে নূর তাপস আমাদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়াম্যানের কনিষ্ঠ পুত্র, সে জায়গা থেকে ফজলে নূর তাপস আমাদের ঘরের ছেলে; যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী এবারের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে নিজেদের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে।

নির্বাচনী প্রচারণায় যুবলীগের নানা কৌশল তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা গত শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছি। ওইদিন দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে থাকা মসজিদ গুলোতে যুবলীগের উদ্যোগের ইমামদের মাধ্যমে আমাদের মেয়র প্রার্থীদের জন্য দোয়া চাওয়া হয়েছে। এরপর প্রতিটি মসজিদের বাইরে থেকে নামাজ শেষ করে বের হয়ে যাওয়া মুসল্লিদের হাতে লিফলেট তুলে দিয়েছে। সেই সঙ্গে বিনয়ের সঙ্গে ভোট প্রার্থীরা করেছে। ওইদিনের পর থেকে দক্ষিণের প্রতিটি এলাকায় গণসংযোগ ও প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে যুবলীগ।

ওয়ার্ড পর্যায়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য আলাদা একটা মনিটরিং টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে বলেও এসময় জানান বেলাল।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ভোটারদের কাছ থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছে? জানতে চাওয়া হলে কমিটির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ বলেন, আমাদের প্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাসপ ধানমন্ডি এলাকার সংসদ সদস্য ছিলেন। তার নির্বাচনী এলাকার মধ্যে পুরান ঢাকার হাজারীবাগও রয়েছে। একটা সময় ছিলো ট্যানারির দুর্গন্ধে যখন মানুষ হাজারীবাগে যেতে চাইতো না। কিন্তু তিনি সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ট্যানারি শিল্পকে সাভারে সরিয়ে নিতে বড় ভূমিকা রেখেছেন। এলাকা বসবাসের উপযোগী করে তুলেছেন। সেই জায়গা থেকে হাজারীবাগের মানুষ ফজলে নূর তাপসকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। আমরা হাজারীবাগসহ দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যেখানেই প্রচারণায় যাচ্ছি আমাদের পক্ষে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।

ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণে যুবলীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এবং সদস্য সচিব দু’জনই এ সময় প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস ৩০ জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ী হবেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আটটি জোটে যুবলীগের যারা সমন্বয়কের ভূমিকায় রয়েছেন, কামরাঙ্গীরচর থানার দায়িত্বে আছেন শাজাহান ভূঁইয়া মাখন ও আকমো গিয়াস উদ্দিন। শ্যামপুর ও কদমতলী থানার দায়িত্বে বিশ্বাস মতিউর রহমান ও মোঃ ইসলাম। যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা বদিউল আলম বদি ও এনামুল হক খান। কোতোয়ালী-সূত্রাপুর-ওয়ারী-গেন্ডারিয়া ও বংশাল থানা এমরান হোসেন খান ও অধ্যক্ষ নবী নেওয়াজ। লালবাগ-চকবাজার-কোতোয়ালি (৩৬ নং) ও বংশালের তিনটি ওয়ার্ডের দায়িত্বে রয়েছেন মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও সাজ্জাদ হোসেন শাহিন। মতিঝিল-শাহবাগ-রমনা-পল্টন ও শাহজাহানপুর থানার দায়িত্বে বাবু সুব্রত পাল ও মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন। খিলগাঁও-সবুজবাগ-মুগদা থানার দায়িত্বে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ও মুন্সি সাইদুজ্জামান।

ধানমন্ডি-হাজারীবাগ-কলাবাগান-নিউমার্কেট থানার দায়িত্বে মঞ্জুরুল ইসলাম শাহীন ও আবু আহমেদ নাসিম পাভেল।

Leave A Reply

Your email address will not be published.