এবার তিন সহপাঠীর বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ

0 ৩৩৩

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৪) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গোদাগাড়ী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলামের বাড়িতে ডেকে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই ভিকটিমের মা তিন ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পুলিশ রাতেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য স্কুলছাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

ওসি খায়রুল ইসলাম বলেন, তারা চারজনই গোদাগাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী। প্রেমের সূত্রধরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। রাতে মেয়েটির মা বাদি হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলো- ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহীদুল ইসলামের ছেলে ওসমান গণি নুর (১৪), খন্দকার মো. ওবাইদুল হকের ছেলে রিদওনাল আলী খন্দকার মোস্তাকিম (১৪) ও মোস্তফার ছেলে তারেক আলী (১৫)। তাদের সবার বাড়ি গোদাগাড়ীর শ্রীমান্তপুর এলাকায়। এদের মধ্যে মোস্তাকিম ও নুর নবম এবং তারেক দশম শ্রেণির ছাত্র।

ওসি বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর সঙ্গে মোস্তাকিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই ছাত্রীকে প্রভোলন দেখিয়ে তিন বন্ধু মিলে নুরের বাসায় ডেকে নেয়। এসময় বাসায় কেউ ছিল না। এ সুযোগে মোস্তাকিম তাকে ধর্ষণ করে। আর নুর ও তারেক বাড়ির বাইরে পাহারা দেয়। তবে মেয়েটি অসুস্থ হওয়ার কারণে তারা তাকে দ্রুত বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি গিয়ে বিষয়টি তার মাকে জানায় ভুক্তভোগী। পরে এলাকায় জানাজানি হলে রাতেই থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

এ বিষয়ে রাজশাহীর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, মামলা হওয়ার পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের তিনজনকে গ্রেফতার করে। রাতেই পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় ভুক্তভোগীকে। মঙ্গলবার সকালে তার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টফ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসিতে) পাঠানো হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.