এনিমিয়া দূর করতে করনীয়

0 ৩৫৩

স্বাস্থ্য ডেস্ক: এনিমিয়া বা রক্ত স্বল্পতা আমাদের দেশে পরিচিত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা।আমাদের শরীরে যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে রেড ব্লাড সেল থাকেনা এবং কিছু ক্ষেত্রে যখন আমাদের দেহ পর্যাপ্ত রেড ব্লাড সেল তৈরি করতে পারেনা তখন রক্ত স্বল্পতা বা এনিমিয়া দেখা দেয়। এনিমিয়ার সমস্যা মেয়েদের বেশি হয় তবে ছেলেদের বা শিশুদের ও এনিমিয়া হতে পারে।

এনিমিয়ার কারন :

পিরিয়ডে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ,খাদ্যে আয়রন বা ফোলেটের অভাব অথবা বিভিন্ন রোগ যেমন: আলসার,পাইলস কিংবা বিশেষ ধরণের ক্যান্সার বা অসুখের কারনে বা মেডিসিনের প্রভাবে এনিমিয়া হতে পারে।

এনিমিয়ার লক্ষণ :

এনিমিয়া হলে-অতিরিক্ত দুর্বলতা,চুল পড়া,মাথা ব্যথা,মাথা ঘোরা,ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া,মনোযোগে অসুবিধা হওয়া,লেগ ক্রাম্প বা ঘুমের সমস্যা হতে পারে।সুতরাং,যাদের প্রায়ই এই ধরণের লক্ষণ দেখা দেয় তাদের দেরী না করে ব্লাড টেস্ট করা উচিত।

এনিমিয়া যেভাবে প্রতিরোধ করবেন :
আমাদের দেশে এনিমিয়ার মুল কারন হল অপুষ্টি এবং আয়রনের ঘাটতি।তাই এনিমিয়া দূর করতে হলে সবার প্রথম সঠিক খাদ্যাভ্যাসের উপর জোর দিতে হবে।

• এনিমিয়া দূর করতে হলে,নিয়মিত আয়রন,ফোলেট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

• মনে রাখতে হবে,প্রানীজ উৎসের আয়রনের শোষণ উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে ভালো।তাই,খাদ্য তালিকায়প্রাণীজ এবং উদ্ভিজ্জ এই দুই ধরণের আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে।

• প্রতিদিন অল্প পরিমানে হলেও প্রাণীজ উৎসের আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমনঃরেড মিট,গরুর কলিজা,মুরগীর মাংস,সামুদ্রিক মাছ রাখুন খাদ্য তালিকায়।

• প্রতিদিন অন্তত ১০০ গ্রাম গাড় সবুজ রঙের শাক-সবজি গ্রহন করুন কেননা,সবুজ রঙের শাক-সবজি আয়রন এবং ফলিক এসিডের খুব ভালো উৎস।

•এনিমিয়া,প্রতিরোদ করতে পালংশাক,ব্রকল,সবুজ শাক,বিট,মিষ্টি আলু,সরিষাশাক,টমাটো,ঢ্যাঁড়স,গাজর এই ধরনের খাবার গুলো প্রতিদিন রাখুন খাদ্য তালিকায়।

• এনিমিয়া দূর করতে হলে,বাদাম,বীচি এবং শুকনো ফল যেমনঃআখরোট,পেস্তা বাদাম, কুমড়ার বীচি,কিশমিশ,আলু বোখারা,খেজুর এই ধরণের খাবার প্রতিদিন একটি করে হলেও রাখতে হবে।

• ফলের মধ্যে প্রায় সব ফলই খাওয়া যাবে তবে টক জাতীয় ফল নিয়ম করে খেতে হবে প্রতিদিন।

• আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহনের অন্তত ২ ঘণ্টা আগে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করা যাবেনা। কেননা,ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার আয়রন শোষণে বাঁধা প্রদান করে।

• যে খাবার গুলোতে ট্যানিন,ফাইটেট,অক্সালিক এসিড,গ্লুটেন এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে যেমনঃসব ধরণের চা,কফি,আঙ্গুর,আপেল,স্ট্রবেরি,বার্লি,নাশপাতি,চকলেট,লাল চালের ভাত,হোল গ্রেন হুয়িট ডেইরি প্রোডাক্টস,এই খাবার গুলো খাদ্য তালিকা থেকে কিছুদিনের জন্য বাদ দিতে হবে।কেননা,এরা আয়রন শোষণে বাঁধা দেয়।আর যদি খেতেও চান তবে,আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহনের অন্তত ২ ঘণ্টা পরই খাবেন।

• নিয়মিত ব্যায়াম করুণ এবং সঠিক পরিমাণে পানি পান করুণ।

• ৬ মাস পর পর কৃমির মেডিসিন গ্রহন করুন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.