নিজস্ব প্রতিবেদক: মহেশপুর উপজেলার ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে চান্সপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থী ও ‘দ্যা ড্রিমার্স ব্লাড ব্যাংক’ থেকে নিয়মিত রক্তদাতাদেরকে সংবর্ধনা দিয়েছে ‘দ্যা ড্রিমার্স’। শনিবার (১ জুলাই) মহেশপুরের সামন্তা বাজারে দ্যা ড্রিমার্স (একটি শিক্ষার্থী ও সামাজিক কল্যাণমূলক সংগঠন) এর আয়োজনে প্রায় ৬৫ জন শিক্ষার্থী ও রক্তদাতাকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নাদিম পারভেজ ইমনের সভাপতিত্বে কৃতি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, তোমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চান্স পেয়েছো তারা সবাই খুব মেধাবী। যদি কেউ সত্যিই পরিশ্রম করে তাহলে সে তার কাঙ্খিত গন্তব্যে পৌঁছাবেই। কিন্তু তার জন্য সর্বোচ্চ পরিশ্রম করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি ড্রিমার্স সংগঠনটিকে ভালোবাসি। কারন তারা স্বপ্ন দেখে এবং মানুষকে স্বপ্ন দেখায়। আমাদের এখন স্বপ্নের বড় অভাব। আইডল মানুষের খুব অভাব। আমাদের আশেপাশে অনেক ধনী মানুষ রয়েছে। তবে প্রকৃত মানুষ যেন নেই। কেমন একটা হাহাকার। সেই জায়গায় ক্ষুদ্র লেভেলে দ্যা ড্রিমার্স শিক্ষার্থী ও সমাজের জন্য একটি রোল মডেল। তাদেরকে সামনে রেখে তোমরা পরিশ্রম করো। তোমরা সফল হবে।
এসময় তিনি দ্যা ড্রিমার্স তার সকল সীমাবদ্ধতা ছাপিয়ে শিক্ষার্থী ও সমাজ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে দ্যা ড্রিমার্সের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিল্টন খন্দকার ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক তারেক মনোয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এম এ আজীজ।
এসময় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সামন্তা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুর আলম, ড্রিমার্সের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. উসমান গনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ হৃদয়, দ্যা ড্রিমার্স ব্লাড ব্যাংকের পরিচালক মো. আসলাম হুসাইন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দ্যা ড্রিমার্সের প্রায় শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, দ্যা ড্রিমার্স সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষার্থী ও সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত। ড্রিমার্সের কর্মকাণ্ডের মধ্যে রযেছে – আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদান, শিক্ষার্থীদের বাহ্যিক জ্ঞান অর্জনে উদ্বুদ্ধকরণ, শিক্ষা বিষয়ক প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন ইভেন্ট পরিচালনা করা, কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান, রক্তদান কর্মসূচি পরিচালনা, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, দারিদ্রকে সহায়তা করা।