দুর্গাপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপককে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা

0 ১০৫
দুর্গাপুর প্রতিনিধি: রাজশাহীর দুর্গাপুরে বেসরকারি এনজিও গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপককে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পর আহত এনজিও কর্মকর্তা শাহ আলমকে (৪৩) উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনার সময় ওই এনজিও কর্মকর্তার কাছে নগদ প্রায় ৮০ হাজার টাকা থাকলেও টাকা ছিনিয়ে না নেয়ার ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করছেন অনেকেই। এ ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ আহত ওই এনজিও কর্মকর্তা।
জানা গেছে, দুর্গাপুরের আলিপুর বাজারে অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংকের নওপাড়া শাখার ব্যবস্থাপক শাহ আলম ঋণের কিস্তি আদায়ের জন্য রোববার সকাল ১১টার দিকে পানানগর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে যান। ওই গ্রামের জনৈক একরামুল হক মাস্টারের বাড়ির কাছে পাকা রাস্তার উপরে অবস্থান করছিলেন তিনি। এ সময় মোটরসাইকেলে যোগে তিন যুবক পেছন দিক থেকে গিয়ে তাকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করেন। এতে তার ডান হাতের কনুইয়ের উপরে গুরুতর জখম হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। ডান হাতের কাটা যায়গায় একাধিক সেলাই দেয়া হয়েছে। এ সময় তার কাছে থাকা ব্যাগের মধ্যে নগদ প্রায় ৮০ হাজার টাকা থাকলেও ওই টাকাগুলো নেয়নি দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি রহস্যজনক বলেও মনে করছেন অনেকেই।
আহত এনজিও কর্মকর্তা শাহ আলম বর্তমানে সংকামুক্ত বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আহত এনজিও কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, তাঁর অফিসের মফিজুর রহমান নামের একজন মাঠকর্মী স্থানীয় যুবকদের সাথে মেলামেশা শুরু করেন এবং মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। বিষয়টি উপরমহলে জানানো হলে মফিজুর রহমানকে দুর্গাপুরের নওপাড়া শাখা হতে গত ৩১ মে মাদারীপুর জোনে বদলি করা হয়। এরপর মফিজুর রহমান অফিসিয়ালী ছাড়পত্র নেয়ার সময় ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। ওই ঘটনার জের ধরেই তাঁর ওপরে এই ধরনের হামলা হতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। মফিজুর রহমানের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর চারঘাট থানা এলাকার হলিদাগাছী গ্রামে। মফিজুর ওই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
তিনি আরো বলেন, ওই তিন যুবক আগে থেকেই তাঁকে অনুসরণ করছিলেন। রোববার তাঁকে ওই স্থানে একা পেয়ে পেছন দিক থেকে এসে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপানো শুরু করেন। এ সময় তিনি দৌড়ে একরামুল হক মাস্টারের বাড়িতে আশ্রয় নিলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তবে দুর্বৃত্তদের কাউকে তিনি চিনতে পারেননি বলেও জানান। এ ঘটনায় তিনি সাবেক সহকর্মী মফিজুর সহ অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামী করে দুর্গাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
দুর্গাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন হোসেন বলেন, এনজিও কর্মকর্তা শাহ আলম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তে জড়িতদের খুঁজে পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.