নানা রোগ প্রতিরোধে ফুলকপি
স্বাস্থ্য ডেস্ক: শীতের অন্যতম সবজি ফুলকপি। কাঁচাবাজারের দোকানগুলোতে এখন থরে থরে সাজানো। প্রায় বাসা-বাড়িতে এখন নিয়মিত সবজি ফুলকপি। কিন্তু অনেকেই জানেন না, সুস্বাদু এই সবজিটি স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী। ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটকেমিকেলসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর এই সবজিটি।
জেনে নিন ফুলকপির বিভিন্ন উপকারিতা;
ক্যান্সার প্রতিরোধক
ফুলকপিতে সালফোরাফেন উপাদান থাকে। সালফোরাফেন ক্যান্সারের স্টেম সেল ধ্বংস করতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন ধরনের টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিহত করে।
ফলকপিতে রয়েছে ফাইবার। যা হজমের উন্নতিতে সাহায্য করে। ওয়ার্ল্ডস হেলদিয়েস্ট ফুডস এর মতে, ফুলকপি পাকস্থলীর প্রাচীরের সুরক্ষায় সাহায্য করে। ফুলকপির সালফোরাফেন পাকস্থলীর হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে এবং পাকস্থলীর প্রাচীরে এর আবদ্ধ হওয়াকে প্রতিহত করে।
হৃদযন্ত্র ভালো রাখে
হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে ফুলকপি বেশ সহায়ক। এর সালফোরাফেন উপাদান রক্ত চাপ কমায় এবং কিডনি ভালো রাখে। তাছাড়া ধমনীর ভিতরে প্রদাহ রোধ করতেও সাহায্য করে ফুলকপি।
গবেষণা মতে, সালফোরাফেন ডিএনএ এর মিথাইলেশনের সাথে সম্পর্কিত যা কোষের স্বাভাবিক কাজের জন্য এবং জিনের সঠিক প্রকাশের জন্য অত্যাবশ্যকীয়, বিশেষ করে ধমনীর ভেতরের প্রাচীরের
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সবজিতে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ এক ধরনের পানিজাতীয় পুষ্টি উপাদান, যেটিকে বলে কলিন। যা ভিটামিন-বি, যা মস্তিষ্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কলিন মস্তিষ্কের কগনিটিভ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। অর্থাৎ এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে ও দ্রুত শিখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও ফুলকপিতে থাকা ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করে। এতে আরও থাকে টোকোফেরল থাকে, যা বন্ধ্যত্ব বা যে মহিলাদের সন্তান হয় না তাদের জন্য ফুলকপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফুলকপিতে ভিটামিন কে থাকে যা প্রোথ্রম্বসিন নামক এক পদার্থ তৈরি করে যা শরীর কেটে গেলে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।