নারী কেলেঙ্কারি: ডিআইজি মিজানকে কাল দুদকে জিজ্ঞাসাবাদ

0 ৪৮৬

বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম : নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে পুলিশের আলোচিত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩ মে) জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
গত ২৫ এপ্রিল দুদক থেকে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বরাবর চিঠি পাঠিয়ে মিজানুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়।
ওই চিঠিতে মিজানুরকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। চিঠিতে মিজানুরকে যথাসময়ে হাজির হওয়ার ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আইজিপি বরাবর অনুরোধ জানানো হয়।
মিজানুরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগের অনুসন্ধান করছেন দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
ডিআইজি মিজানুর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত জানুয়ারির শুরুর দিকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদফতরে সংযুক্ত করা হয়।
তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিয়ে গোপন করতে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী মরিয়ম আক্তারকে গ্রেফতার করানোর অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া নারী নির্যাতনেরও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের প্রমাণ পায় পুলিশের তদন্ত কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
সবশেষ মিজানুরের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ তোলেন এক সংবাদ পাঠিকা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মরিয়ম আক্তার ইকো নামে এক ব্যাংকার নারীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জোরপূর্বক বিয়ে এবং ওই নারীর ওপর নির্মম নির্যাতন করার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ডিআইজি মিজান দুই সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।
এর পর মিজানের স্ত্রী পরিচয় দেয়া ওই ব্যাংকার নারী একটি জাতীয় দৈনিককে জানান, পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালের কাছে তার বাসা। সেখান থেকে কৌশলে গত বছরের জুলাই মাসে তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মিজান। পরে বেইলি রোডের মিজানের বাসায় নিয়ে তিনদিন আটকে রাখা হয়েছিল তাকে। আটকে রাখার পর বগুড়া থেকে তার মা’কে গত বছরের ১৭ জুলাই ডেকে আনা হয় এবং ৫০ লাখ টাকা কাবিননামায় মিজানকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। পরে লালমাটিয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাখেন ইতোপূর্বে বিবাহিত মিজান।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, কয়েক মাস কোনো সমস্যা না হলেও ফেসবুকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি ছবি তোলার পর ক্ষেপে যান মিজান। বাড়ি ভাঙচুরের একটি ‘মিথ্যা মামলা’য় তাকে গত ১২ ডিসেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়। সেই মামলায় জামিন পাওয়ার পর মিথ্যা কাবিননামা তৈরির অভিযোগে আরেকটি মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়। ব্রেকিংনিউজ/

Leave A Reply

Your email address will not be published.