নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী: করোনাকালে নারীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। কারন সারা বিশ্বের ৭০ ভাগ স্বাস্থ্য কর্মী নারী। সেক্ষেত্রে করোনার বিরুদ্ধে লড়ায়ের অগ্র সৈনিক নারীরা। করোনার কারনে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রমকরতে হয় নারীকে। তাদের সংগ্রাম যেমন ঘরে রয়েছে তেমন রয়েছে বাইরে। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের এক গবেষনায় বলা হয়েছে করোনা কালে সবচেয়ে বেশি নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
নির্যাতনের ঘটনা এ সময় কম নথিভূক্ত হয়েছে। করোনাকালে এনজিওদের সহায়তা ৬৪ শতাংশ কমে গেছে। এ কারনে মাঠে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে প্রচারণাসহ আইনীসহায়তার কাজ হয় কমিয়ে দেয়া হয়েছে না হয় বন্ধ হয়ে গেছে। আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
দবসটি উপলক্ষে আজ সমবারু সকালে মহানগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট একটি বর্নাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়। পরে কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
নারী সংগঠক এ্যাড. দিল সেতারা চুনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার রেনী, মহিলা পরিষদ জেলা সভাপতি কল্পনা রায়, সম্পাদক অঞ্জনা সরকার, সোনর দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হাসান মিল্লাত, ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের ইন্সপেক্টর মোহতারেমা আশরাফি খানম এবং উইমেন ইন্টারপ্রেনিয়র এসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি আঞ্জুমান আরা লিপি ।
অনুষ্ঠানে বক্তার বলেন, দেশের জন সংখ্যার অর্ধেকাংশ নারী। তাই নারীদের অগ্রগতির পথের সকল অন্তরায় দূর করে তাদের এগিয়ে যেতে হবে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত। দেশকে আরো সৃজনশীল কাজে নারী সমাজে অংশ গ্রহণ প্রয়োজন। ফলে বর্তমান সরকার নারী সমাজের উন্নয়নে নানা মুখী যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।