খালেদ হোসেন টাপু, রামু : কক্সবাজারের রামুতে দূর্গা পূজা উদযাপনের চলছে মন্ডপে মন্ডপে সর্বশেষ প্রস্তুতি। এবছর রামুতে মোট ২৯টি পূজামন্ডপে দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে ১৯টি প্রতিমা ও ১০টি ঘট পূজা। ইতোমধ্যে রামুর অধিকাংশ পূজা মন্ডপের প্রতিমা গড়ার মূল কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন পূজা মন্ডপগুলোতে প্রতিমা রং করার কাজে চলছে ব্যস্ততা।
বিগত বছরের তুলনায় এ বছর দূর্গাৎসবে দ্বিগুন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে আয়োজকদের। এরপরও থেমে নেই কোন আয়োজন। হাতে মাত্র আর এক দিন বাকি। তাই রাত, দিন চলছে পূজা মন্ডপগুলোতে সাজ-সজ্জার ধুম।
সবমিলিয়ে উৎসবের রঙে সাজছে পূজা মন্ডপগুলো।
রামুর বিভিন্ন পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, শেষ পর্যায়ে কোন কোন মন্ডপে চলছে রংতুলির কাজ, ইতোমধ্যে বিভিন্ন মন্ডপে চলছে উৎসবের ব্যাপক প্রস্তুতি। আবার কোথাও চলছে সাজ-সজ্জা, প্যান্ডেল ডেকোরেশনের কাজ। অপরদিকে চলছে কেনা কাটায় ব্যস্তহয়ে পড়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। জামা কাপড় তৈরি, কেনা-কাটায় সরগরম বিপণীবিতানগুলো।
রামু পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর রামু উপজেলায় ১৯টি প্রতিমা ও ১০টি ঘট পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
রামু উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক তপন মল্লিক বলেন, শারদীয় দূর্গা উৎসব উপলক্ষ্যে নেয়া হয়েছে ব্যাপক আয়োজন। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিমা তৈরীতে দ্বিগুণ ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। তার পরও আমাদের পূজার আয়োজন থেমে নেই। তিনি আরো বলেন, দূর্গা পূজা পরিচালনার লক্ষ্যে সরকার থেকে কিছু অনুদান আমরা পেয়ে থাকি। তবে তা অতি সামান্য। এবছর আমরা সরকারের কাছে অনুদান বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছি।
অপরদিকে জেলা পূজা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা বলেন, আগামী ৬ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে পাঁচ দিন ব্যাপী শারদীয় দূর্গা উৎসব। পূজাকে সামনে রেখে পূজা উদযাপন পরিষদের সকল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রতিটি মন্ডপে আইন শৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় পূজা কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবককর্মী নিয়োগ করা হবে। শান্তি পূর্ণ পরিবেশে উৎসব পালনের লক্ষ্যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা জোরদার করার আহবান জানান তিনি।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গা পূজা উপলক্ষ্যে রামু থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পূজা মন্ডপ গুলোকে তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে। পূজা শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে পুলিশ প্রশাসন সদা তৎপর থাকবে।
রামু কেন্দ্রীয় সার্বজনীন কালি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সজল ব্রাহ্মন চৌধুরী জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার মহা পঞ্চমী থেকে মহা বিজয়া দশমী পর্যন্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব চলবে। তাই মহাপবিত্রতার মাধ্যমে ধর্মীয় নিয়ম কানুন মেনে চলার জন্য সকল ভক্তদের প্রতি তিনি আহবান জানান।