ইরাক ছাড়ছে মার্কিন বাহিনী, বাইডেন-কাদিমি চুক্তি সাক্ষর

0 ১৯৯

আফগানিস্তানের পর এবার ইরাকে দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের সমাপ্তি টানতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সেনারা দেশটিতে পা রাখার দেড় যুগ পর চলতি বছরের শেষ নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান গুটিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্র।

এ বিষয়ে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাদিমির মধ্যে চুক্তিও হয়ে গেছে। খবর রয়টার্সের।

পূর্বসূরী জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় ইরাক ও আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযান শুরু হয়েছিল।

প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পরই বাইডেন এই দুই বড় রণাঙ্গনের একটি আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারে উদ্যোগী হন । এ বছরের অগাস্টের শেষ দিকে আফগান ভূখণ্ড ত্যাগ করার কথা মার্কিন সেনাদের।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাকের মধ্যে কৌশলগত আলোচনার অংশ হিসেবে সোমবার ওভাল অফিসে প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসেন বাইডেন ও কাদিমি।

বৈঠকের পর বাইডেন বলেন, ‘ইরাকে আমাদের সহায়তা, প্রশিক্ষণ, আইএসকে প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে। তবে এ বছরের শেষ নাগাদ সেখানকার যুদ্ধে আমরা আর থাকছি না।’

বর্তমানে ইরাকে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে, যারা মূলত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে অভিযানেই ব্যস্ত। সেই ভূমিকা থেকে সরে এসে শুধু ইরাকি বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং তাদের সুরক্ষা বিষয়ক পরামর্শ দেওয়ায় মনোযোগী হবে যুক্তরাষ্ট্র।

অবশ্য ইরাকি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজটি যুক্তরাষ্ট্র শুরু করেছে অনেক আগে থেকেই।

ইরাকের তৎকালীন নেতা সাদ্দাম হোসেনের সরকার ব্যাপক ধ্বংসাত্মক অস্ত্রের মজুদ গড়ে তুলেছে, এমন অভিযোগ তুলে ২০০৩ সালে দেশটিতে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী। এরপর সাদ্দামকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হলেও সেসব অস্ত্রের হদিস আজ পর্যন্ত মেলেনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.