এক সিদ্ধান্তে আইপিএলে কোটিপতি এই লেগ স্পিনার
আইপিএলের মেগা নিলামে এবার অনেক কিছুই ঘটল। সঞ্চালকের অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়া, কারও আকাশ ছোঁয়া দাম, কারও রেকর্ড গড়া, আবার অনেক বড় তারকাদের দল না পাওয়া—সবকিছুই দেখল বেঙ্গালুরুতে হয়ে যাওয়া নিলামে।
তবে এত ঘটনার মাঝে কিছুটা অবাক করেছেন নিলামে কোটিপতি বনে যাওয়া কয়েকজন। তাঁদের মধ্যেই একজন হলেন মুম্বাইয়ের তরুণ লেগ স্পিনার প্রশান্ত সোলাঙ্কি। নিজের নেওয়া একটি সিদ্ধান্তেই বদলে গেছে তাঁর জীবন। মূলত ওজন কমিয়ে ফিট হয়েই কোটিপতি হয়ে গেছেন তিনি।
নেট বোলার হিসেবে চেন্নাইয়ের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নজর কেড়েছিলেন সোলাঙ্কি। তাই ২০ লাখ ভিত্তিমূল্যের এই বোলারকেই এবারের নিলামে ১.২ কোটি রুপি দিয়ে কিনেছে চেন্নাই সুপার কিংস।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, লকডাউনের সময় শরীরের ওজন ৮৬ কেজি থেকে কমিয়ে ৬৭ কেজিতে আনেন তরুণ এই স্পিনার। যার ফলে ২০২০-২১ মৌসুমে বিজয় হাজারে ট্রফিতে ডাক পেয়ে যান তিনি। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে ফেলেন মুম্বাইয়ের নেট বোলার। ছয় ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন মুম্বাই সিনিয়র দলের নির্বাচকদের। এরপর ২২ বছরের ক্রিকেটার সুযোগ পেয়ে যান মুম্বাইয়ের রঞ্জি দলে।
আইপিএল নিলামের সময় মুম্বাই দলের সতীর্থদের সঙ্গে টিম হোটেলে টিভি দেখছিলেন প্রশান্ত। সেখান থেকে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমার নাম নিলামে উঠতেই খুব টেনশন শুরু হয়। প্রার্থনা করছিলাম কেউ যেন আমাকে নেয়। চেন্নাই আমাকে দলে নেওয়ায় স্বপ্নপূরণ হল।’
এরপর প্রশন্ত আরো বলেন, ‘ছোট থেকেই আমার ওজন বেশি। এটা নিয়ে কখনই সচেতন ছিলাম না। ফিটনেস উন্নত করার থেকে ভাল পারফরম্যান্সই সব সময় লক্ষ্য থাকত। একটা সময় সকলেই আমার ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। আমার ওজনই আমাকে আহত করত। লকডাউনের সময় অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেই এবং চেষ্টা শুরু করি। বাড়িতে যা সরঞ্জাম আছে, তা দিয়েই দিনে দু’বেলা ট্রেনিং শুরু করি। ট্রেনিংয়ের পরিমাণ বাড়াই। ডায়েট চার্ট মেনে খাওয়া কমাই। কয়েক মাসের চেষ্টাতে ফল পেয়েছি।’
নেট বোলার হিসেবে গত আইপিএলে প্রশান্ত ছিলেন চেন্নাই শিবিরে। তখনই দলের ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন। এবার চেন্নাইয়ের হলুদ জার্সি পরার সুযোগ হতে পারে এই তরুণের। নিলামে বেশ লড়াই করেই তাকে পেয়েছে চেন্নাই। রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে লড়াই করে পেয়েছে তাঁকে।
চেন্নাইয়ে ধোনির নেতৃত্বে খেলার জন্য মুখিয়ে আছেন এই তরুণ ক্রিকেটার। তিনি বলেছেন, ‘আমার ভাবনা পরিস্কার। একটা জিনিস জানি, ফোকাস ঠিক থাকলে ফল আসবেই। মাহি ভাই খুব সাহায্য করতেন। আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিতেন। নানা পরামর্শ, আত্মবিশ্বাস দিতেন। নেট বোলার হলেও দলের সকলেই খুব ভালোভাবে মিশতেন। সিএসকে পরিবারের সদস্য মনে করত সবাই।’
Comments are closed.