এশিয়ান গেমসে আবার ফিরেছে ক্রিকেট

২৮৪
২০১০ সালে এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ ক্রিকেটে স্বর্ণপদক জেতে। ছবি : সংগৃহীত

চলতি বছর ১০-২৫ সেপ্টেম্বর চীনের হাংজু শহরে অনুষ্ঠিত হবে ১৯তম এশিয়ান গেমস। ১৯৯০ সালে বেইজিং ও ২০১০ সালে গুয়াংজুর পর তৃতীয়বার চীনে এশিয়ান গেমস অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া যজ্ঞে ৪০টি ক্রীড়ায় ৬১টি ডিসিপ্লিনে এই গেমস অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে অলিম্পিক ইভেন্ট হিসেবে সাঁতার, আরচারি, অ্যাথলেটিকস, ব্যাডমিন্টন, ইকুয়েস্ট্রেইন, ফেন্সিং, ফুটবল, হকি, জুডো, কাবাডি রয়েছে। অলিম্পিক কাউন্সিল অব এশিয়া এবার (আইওসি) নতুন দুটি ইভেন্ট যুক্ত করেছে।

এবারই প্রথম যোগ হতে যাচ্ছে ই-স্পোর্টস ও ব্রেক ড্যান্সিং ইভেন্ট। ১১ বছর পর আবার এশিয়ান গেমসে ফিরেছে ক্রিকেট। ২০১০ সালে প্রথমবার এশিয়ান গেমসে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ক্রিকেট অন্তর্ভূক্ত হয়েছিল। গত দুই আসরে স্বাগতিক দক্ষিণ কোরিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার আগ্রহ না থাকায় ইভেন্টটি বাতিল করা হয়েছিল।

আইওসির দক্ষিণ এশিয়ান জোনের সদস্য হিসেবে গেমসে যে সাতটি দেশ এ পর্যন্ত সবকটি আসরে অংশ নিয়েছে ভারত তার মধ্যে অন্যতম। প্রতিটি এশিয়ান গেমসেই অন্তত একটি স্বর্ণপদক জয় করেছে ভারত। ১৯৯০ সালে বেইজিং গেমস ছাড়া সব সময়ই পদক তালিকায় শীর্ষ ১০-এর মধ্যে তারা থেকেছে।

এই প্রথম ওশেনিয়া অঞ্চল থেকে ৩০০-এর বেশি ক্রীড়াবিদ এশিয়ান গেমসে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড থেকে পাঁচটি ক্রীড়ায় ট্রাইথলন, অ্যাথলেটিকস, উশু, রোলার স্কেটিং ও ভারত্তোলনে ক্রীড়াবিদরা অংশ নেবেন।

এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য আসে ২০১০ সালে ক্রিকেট দিয়ে। সেই আসরে একটি স্বর্ণসহ তিনটি পদক পেয়েছিল লাল সবুজের দল। সেবারে ফাইনালে আফগানিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে স্বর্ণ-সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। আশরাফুল, নাসির, সাব্বিরদের হাত ধরে স্বর্ণপদক জিতেছিল দল। গুয়াংজু থেকে ভেসে আসে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’র সুরধ্বনি। সেবার নারী ক্রিকেটে পাকিস্তানের কাছে হেরে স্বর্ণপদক হাতছাড়া করেছিল বাংলাদেশ।

Comments are closed.