কুড়িগ্রামের রৌমারী এক বাড়িতে হামলায় নারীসহ আহত-৩,আটক-২

0 ২০১

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: জমিজমাকে কেন্দ্র করে একটি পরিবারের বাড়ি ভাংচুর ও মারপিটে ২ নারীসহ এক পুরুষ মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্যাডার বাহিনীর ২ যুবককে আটক করে রৌমারী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। গত সোমবার বিকালের দিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বড়াইকান্দি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মাহফুজুর রহমান ও বেলাল হোসেন আর এস ৪৮২৮ দাগের একই মালিকের ১ একর ৪৭ শতক জমি ক্রয় করেন। এর মধ্যে মাহফুজুর রহমান ডিসি রাস্তার সাথে ওই জমির অংশে প্রায় ১৮ বছর আগে বাড়ি করে বসবাস করছেন। বেলাল হোসেন তার জমির অংশে হালচাষ করে আসছেন।

তবে বেলাল হোসেন মাহফুজুরের কাছে ২ শতাংশ জমির অংশ পেলেও প্রায় ১৬ বছর আগে রেওয়াজ বদল করা হয়। এ নিয়ে কয়েকবার শালিসী বৈঠকও বসেন। ঘটনার দিন বোয়ালমারী গ্রামের একে ফজলুল হকের ছেলে বেলাল হোসেন তার অংশ দখলে নেওয়ার জন্য ক্যাডার বাহিনীকে ভাড়া করেন।

ভাড়াটিয়া ক্যাডার বাহিনী ওই বাড়িতে গিয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। এসময় জমির মালিক মাহফুজুর রহমানের ভাবি রহিমা খাতুন তাদেরকে বাধা দিতে গেলে তার উপর এলোপাথারি মারপিট করে। এতে ঘটনাস্থলেই সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এতে ক্ষেন্ত হয়নি ওই ক্যাডার বাহিনী। তাদের এ হামলায় রহিম বাদশা (৬০) রোকসানা (৪৩) ও রহিমা (৩৫) গুরুতর আহত হয়।

পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। রহিম বাদশার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অপর দিকে বাড়িতে হামলা ও মারপিটে তাদের আত্মচিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসে এবং ভাড়াটিয়া ক্যাডার বাহিনীর ২ যুবককে আটক করে গণধোলাই দেয়।

তারা হলেন ভিটাবাড়ি গ্রামের ডেমোনেস্টচর হারুনর রশিদ বিএসসির ছেলে শৌলমারী ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক সাদেকুল ইসলাম সেতু ও দক্ষিণ বাউশমারী গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে হাফিজুর রহমান। তাদেরকে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সকালে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, বাড়িতে হামলা ও মারপিটের ঘটনায় দুইজনকে আটক করে নিয়মিত মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.