ক্যাম্পে ফিরছেন ওয়াগনার যোদ্ধারা

0 ১৮৬
ফাইল ছবি

ওয়াগনার সেনারা বিদ্রোহ তুলে নিয়ে রাজধানী মস্কোর দিকে অগ্রসরমান যাত্রা বন্ধ ঘোষণা করেছেন।

পাশাপাশি সেনারা ক্যাম্পে ফিরে যাচ্ছেন বলেও জানান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন ।

রক্তপাত এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে ক্রেমলিনের সামরিক নেতৃবৃন্দকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি দেয় ওয়াগনার সেনারা।

শনিবার (২৪ জুন) ওয়াগনার ভাড়াটে গোষ্ঠীর প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

লাইভ আপডেটে বিবিসি জানিয়েছে, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে আলোচনা করেছেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিন। এরপর এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে লুকাশেঙ্কোর প্রেস সার্ভিসের বরাত দিয়ে রাশিয়া ২৪ জানিয়েছে, রাশিয়ার অভ্যন্তরে ওয়াগনার সেনাদের বিদ্রোহ যাত্রা বন্ধের বিষয়ে লুকাশেঙ্কোর প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন প্রিগোজিন। একইসঙ্গে উত্তেজনা নিরসনে বেশকিছু পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে।

ভাগনার গ্রুপের যোদ্ধাদের মস্কো অভিমুখে যাত্রা বন্ধের ঘোষণা দিয়ে রাশিয়ার বেসরকারি বাহিনীটির প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিন বলেছেন, ভাগনার যোদ্ধারা ‘ফিল্ড ক্যাম্পে’ ফিরে আসতে শুরু করেছে।

এক অডিও বার্তায় প্রিগোশিন বলেছেন, রক্তপাতের আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় তারা পিছিয়ে আসছেন। মস্কো অভিমুখী তাদের বহরটি পরিকল্পনা অনুসারে তাদের শিবিরে ফিরে আসবে। এমন খবর

জানিয়েছে রয়টার্স।

প্রিগোশিন বলেন, ‘ওরা ভাগনার গ্রুপ বিলুপ্ত করে দিতে চেয়েছিল। এর বিচারের দাবিতে গত ২৩ জুন এক দিনের জন্য মার্চ করেছি। সেখানে পৌঁছে গেছিলাম যেখান থেকে মস্কোর দূরত্ব মাত্র ২০০ কিলোমিটার। এই সময়ের মধ্যে একবিন্দু রক্তপাত ঘটাইনি।’

ভাগনার প্রধানের ঘোষণার আগে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো জানান, প্রিগোশিনের সঙ্গে আলোচনা সফল হয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সমন্বয় করেই আলোচনা হয়েছে।

লুকাশেঙ্কো বিবৃতিতে বলেন, ভাগনার যোদ্ধাদের বিদ্রোহ বন্ধ ও উত্তেজনা কমাতে তার প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন প্রিগোশিন। ভাগনার যোদ্ধাদের নিরাপত্তার গ্যারান্টিসহ সংকট সমাধানের জন্য তাকে গ্রহণযোগ্য বিকল্প দেওয়া হয়েছিল।

তবে এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট পুতিনের তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানায় রয়টার্স।

এদিকে বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রিগোশিন পূর্ব ইউক্রেনে তার সেনাদের মৃত্যুর জন্য রুশ সেনাবাহিনীকে দায়ী করে আসছিলেন। তার দাবি, রুশ সেনাবাহিনী ভাগনার গ্রুপের অর্জনকে নিজেদের বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

রুশ বাহিনী পর্যাপ্ত অস্ত্র সরবরাহ করছে না বলেও বারবার অভিযোগ তোলেন তিনি। অস্ত্র না পেলে যুদ্ধ থেকে সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন। তখন থেকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও সেনাপ্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভের সম্পর্কে ফাটল ধরে।

প্রসঙ্গত ভাগনার গ্রুপ একটি প্রাইভেট আর্মি গ্রুপ, যারা মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় বিভিন্ন দেশে সংঘাতে জড়িত ছিল। প্রিগোশিন গত বছর স্বীকার করেছেন, রাশিয়ার কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া সেনাদের নিয়ে গ্রুপটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি।

পূর্ব ইউক্রেনে তার এই ভাড়াটে সেনারা রাশিয়ার পক্ষে অনেকগুলো যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে। বাখমুতের মাসব্যাপী আক্রমণের অগ্রভাগে ছিল তারা। রাশিয়ার হয়ে বাখমুত দখলও করে ভাগনার।

Leave A Reply

Your email address will not be published.