জার্মান সব সেনা প্রত্যাহার আফগানিস্তান থেকে

0 ৩০৫

দীর্ঘ ২০ বছরের মিশন শেষে আফগানিস্তান থেকে বিদায় নিল জার্মানির সব সেনা সদস্য। এখনও এশিয়ার দেশটির একাংশ তালেবানের নিয়ন্ত্রণে, সেখানে প্রায় প্রতিদিনই বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের।

এ অবস্থায় শুধু জার্মানিই নয়, যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটো জোটভুক্ত সব দেশই মাস তিনেকের মধ্যে সব সেনা প্রত্যাহার করতে পারে। খবর ডয়েচে ভেলের।

জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রায় ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে তাদের সব সেনা ঘরে ফিরছে। এর মধ্য দিয়ে একটি ঐতিহাসিক অধ্যায় শেষ হলো। জার্মান সেনারা আফগানিস্তানে পেশাদারী ও দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

জার্মান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানে আর একজনও জার্মান সেনা নেই। তবে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যানগ্রেট ক্র্যাম্প-ক্যারেনবাউয়ার এক টুইট বার্তায় বলেন, গতকাল মঙ্গলবার জার্মানির শেষ সেনা নিরাপদে আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে। ২০০১ সাল থেকে আফগানিস্তানে সেবা দেওয়া দেড় লাখ ন্যাটো সেনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, মিশনের জন্য তারা গর্ববোধ করতে পারে।

জার্মান সেনাবাহিনীর বরাতে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এপির খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে থাকা জার্মানির শেষ সেনারা নিজ দেশে ফিরছে। জার্মান সেনাবাহিনীর শেষ কমান্ডার জার্মানির উদ্দেশে এ৪০০এম বিমানে ছিলেন বলেও খবরে বলা হয়।

জানা যায়, আফগানিস্তানে সব মিলিয়ে জার্মানির এক হাজার ১০০ জন সেনা ছিল। গত মে মাস থেকে তাদের প্রত্যাহারের কাজ শুরু হয়। জার্মান সেনারা আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করে ২০০২ সালের জানুয়ারিতে। মোট দেড় লাখ জার্মান সেনা আফগানিস্তান গেছেন।

এর মধ্যে অনেকে একাধিকবারও গেছেন। তাদের খরচ মেটাতে ব্যয় হয়েছে অন্তত এক হাজার ২৫০ কোটি ইউরো। আফগানিস্তানে প্রায় দুই দশকের অভিযানে জার্মানির ৫৯ জন সেনা মারাও গেছেন।

জানা গেছে, বুধবার চারটি সামরিক বিমানে করে ৫৭০ জন সেনা জার্মানি পৌঁছাবেন। তারা যে শিবিরে ছিলেন তা এরই মধ্যে আফগান সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.