থুতনিতে বন্দুক ঠেকিয়ে সেলফি, ক্যামেরার বদলে বন্দুকের ‌ট্রিগারে চাপ!

0 ৩১২

গুলিভর্তি বন্দুক নিয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে মাথার ‘খুলি উড়িয়ে’ ফেললেন এক গৃহবধূ। গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের হারদুই অঞ্চলে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

কিন্তু কীভাবে চলল বন্দুকের গুলি? জানা গেছে, থুতনিতে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে সেলফি তুলছিলেন উত্তর প্রদেশের লখনউয়ের হরদই অঞ্চলের বাসিন্দা রাধিকা গুপ্তা। একটা হাত মোবাইলের কিপ্যাডে থাকলেও ছবি তোলার সময় তরুণীর অপর হাত ছিল বন্দুকের ট্রিগারে। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। অসাবধানতাবশত চাপ পড়ে যায় ট্রিগারে। ব্যাস! গুলি বেরিয়ে সোজা গৃহবধূর মাথায়।

শ্বশুরের বন্দুক নিয়ে এই সেলফি স্ট্যান্ট করছিলেন রাধিকা। ২৬ বছর বয়সী এই তরুণী প্রায়ই নানা পোজে সেলফি তুলতে পছন্দ করতেন বলে জানা গেছে। সেলফি তোলার সময় সাহসী কিছু করতে গিয়েই দুর্ঘটনাবশত মৃত্যু হলো তাঁর।

পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে বের হওয়া গুলি তাঁর গলা ও ঘাড় ফুঁড়ে সোজা মাথার এফোঁড়-ওফোঁড় করে বেরিয়ে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

রাধিকার শ্বশুর রাজেশ গুপ্তা জানান, তাঁর ছেলে আকাশ গুপ্তার সঙ্গে রাধিকার বিয়ে হয় চলতি বছরের মে মাসে। এই বন্দুকটি তাদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ১২-বোর একনলা বন্দুকটি থানায় জমা রাখতে হয়েছিল।

গত বৃহস্পতিবার আকাশ সেটি বাড়িতে ফেরত আনেন। বাড়ির দোতলায় সেটি রাখা ছিল। ওইদিনই বিকেল ৪টার দিকে বাড়ির সদস্যরা গুলির শব্দ শুনতে পান। রাধিকার ঘরে পৌঁছে দেখেন, তিনি রক্তে ভাসছেন। হাতে রয়েছে সেই একনলা বন্দুক। সামনে তাঁর মোবাইলটি পড়ে থাকতে দেখেন সবাই। সেখানেই বন্দুকসহ রাধিকার সেলফি দেখা যায়। বুঝতে কোনো অসুবিধা হয়নি, সেলফি তুলতে গিয়েই এই মর্মান্তিক পরিণতি।

পুলিশ বন্দুক ও মোবাইল ফোনটি জব্দ করেছে। এরই মধ্যে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সেগুলো পাঠানো হয়েছে। রাধিকার ফোন থেকে পাওয়া ছবি মৃত্যুর কয়েক সেকেন্ড আগে তোলা হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ।

এ ঘটনায় রাধিকার স্বামী আকাশকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আকাশ জানান, তাঁর স্ত্রী বন্দুক দেখার পর থেকেই ব্যাপক উৎসাহিত ছিলেন। তিনি বন্দুক পাশে রেখে বেশ কয়েকটি ছবিও তুলেছিলেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.