দূর্গাপুর আলীপুর মাদ্রাসার শিক্ষক ও নাশকতা মামলার আসামী ছাত্রীকে নিয়ে উধাও হওয়ার ৩৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি

0 ৫৮১

দূর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর দূর্গাপুরের নওপাড়া আলীপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার আরবীর শিক্ষক ও নাশকতা মামলার আসামী মোঃ রফিকুল ইসলাম নিজ মাদ্রাসার জৈনক একছাত্রীকে নিয়ে উধাও হওয়ার ৩৫ দিন পেরিয়ে গেলেও সেই ছাত্রী উদ্ধার হয়নি। সেই শিক্ষক পলাতক থাকায় সে মাদ্রাসায় আসেন না। তাকে পর পর ৩ বার শো-কোজ পত্র প্রেরণ করেও উত্তর না পাওয়ায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই সেই শিক্ষককে বহিস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। তবে নিয়োগের সময় নাশকতা মামলা বিষয়টি তথ্য গোপন করা হয়েছে বলেও জানান। এদিকে পলাতক আরবীর শিক্ষক মাদ্রাসায় না আসায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। অপরদিকে ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। তবে সেই শিক্ষক রফিকুল ইসলাম এর ১ম স্ত্রী এবং ১৪ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।
জানা গেছে, রাজশাহীর বাগমারা থানা এলাকায় নাশকতা মূলক কর্মকান্ড করার লক্ষে বাগমারা থানার মামলা নং-১১, তারিখ ১৩ জুন ২০১৬ সালের এজাহার নামিয় আসামী ১৬ জুন ২০১৬ সালে সকাল ১০ ঘটিকার সময় বাগমারা উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারে গোলাম কিবরিয়া বাবুর দোকান থেকে উদ্ধারকৃত ককটেল, পেট্রোল বোমা ও জিহাদী বই সহ তাকে আটক করে। সেই মামলায় যোগসাজস থাকায় রফিকুল ইসলামকে ২৪ অক্টোবর ২০১৬ সালে রাত ৭ টা ৪৫ মিনিটে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া বাসষ্ট্যান্ড থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
একটি সূত্র জানান, রফিকুল যোগীপাড়া ইউনিয়ন শিবিরের সভাপতি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন পুঠিয়া বানেশ্বর এলাকার দায়িত্বে ছিলেন।
পলাতক শিক্ষক রফিকুল ইসলাম নাশকতা মামলার আসামী হয়েও তথ্য গোপন করে রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া আলীপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় আরবী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। তৎকালীন নিয়োগ কমিটি তার বিষয়ে তথ্য যাচাই না করেই তাকে নিয়োগ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলামের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
নওপাড়া আলীপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু তালেব জানান, রফিকুল ইসলাম নিয়োগ পেয়েছে ৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ সালে আরবী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে। ২০১৬ সালে তার নামে নাশকতা মামলার বিষয়টি আমাদের জানা ছিলোনা। পরবর্তীতে জানতে পারি যে, তার নামে মামলা রয়েছে। ৩ বার শোকজ পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন পেলে তাকে সাময়িক বহিস্কার করা হবে। দূর্গাপুর থানার এসআই আঃ রাজ্জাক জানান, শুনেছি তারা বিয়ে করেছে, তার কাগজপত্র জমা দিতে বলেছি।
এ ব্যাপারে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, ২০১৬ সালের মামলাটির চাজশীট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
দুর্গাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাঃ জাহিদুল হক জানান, কোন মামলা থাকলে নিয়োগ পাওয়ার কথা না। মাদ্রাসায় না আসায় তাকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.