নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের মিলনমেলা

0 ৭৭

দুর্গাপুর প্রতিনিধি: অনেক দিন পর দেখা বন্ধু! আয় আয় সেলফি তুলি’- দীর্ঘদিন পর পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হওয়ার পর এভাবেই চলে কুশলবিনিময়। স্মৃতিচারণ করতে করতে অনেকে ফিরে যান শৈশবের সেই মধুর দিনগুলোয়। অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদেও ফেলেন। তারা সবাই নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী। শনিবার বিদ্যালয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকমন্ডলীর বিদায় সংবর্ধনা ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। সকাল থেকে রাত অবধি উল্লাসে মেতে ওঠেন তারা।

অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিদ্যালয় মাঠটি হয়ে উঠেছিল একটি পরিবার, বন্ধুদের আড্ডাখানা আর প্রাণের মেলা। দিনব্যাপী এ আয়োজনের চলে সকাল ৯টা থেকে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপনী অনুষ্ঠানটি চলে রাত পর্যন্ত।

প্রাণের এ মেলায় শৈশব-কৈশোরের রং ছড়াতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি বিদেশ থেকেও সাবেকরা ছুটে এসেছেন। প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা এ পুনর্মিলনীর আয়োজন করে। এতে প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহন করেন।

রাজশাহীর দুর্গাপুরে নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকমন্ডলীর বিদায় সংবর্ধনা ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের মিলনমেলা-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার ২( মার্চ) নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বক্তারা বলেন, নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় দেশের নানা প্রান্ত থেকে সবাই ছুটে এসেছে দেখে আমরা অত্যান্ত আনন্দিত। আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বলতে পারি, এ স্কুল থেকে যারা পাস করে গেছেন তারা কাজে লেগেছেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা প্রতিষ্ঠিত। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বেসামরিক প্রশাসন, সাংবাদিক, ব্যবসাসহ সর্বক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট  এম. এম. হুমায়ুন কবির  বলেন, একটি শিক্ষিত জাতিই পারে একটি আদর্শ ও উন্নত দেশ গড়তে। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ দেশ-বিদেশে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। সরকারি-বেসরকারি উচ্চপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন। সময়ের সিঁড়ি বেয়ে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি গৌরবময় সময় আজ পার করছে ও মিলনমেলা উদযাপন করছে। সেই সঙ্গে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ হিসেবে সুনাম অর্জন করেছে বলে আমি মনে করি।

প্রাক্তন শিক্ষক মো.আমজাদ হোসেন স্মৃতিচারন করে বলেন, আমি গর্ববোধ করি নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হতে পেরে। আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে এ মিলনমেলা উপভোগ  করেছি। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই আমাদের মানুষের মতো মানুষ হয়ে বড় হওয়ার মূলমন্ত্রটি শেখান। আমি আমার হৃদয়ের গভীর থেকে আমার শিক্ষার্থীদের প্রতি  ভালোবাসা জানাচ্ছি।

উক্ত অনুষ্ঠানে  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে ও আলিফ আলী’র সঞ্চলনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল করিম উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কৃষ্ণ চন্দ্র উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এম. এম. হুমায়ুন কবির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁপাইনবাবগঞ্জ,
মো.শফিকুল আলম চেয়ারম্যান ১ নং ইউনিয়ন পরিষদ, জাহিদুল হক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। শিক্ষক মো.আমজাদ হোসেন, পিএম.আব্দুস সাত্তার,বি.কম.রফিকুল ইসলাম, সাজেদুর রহমান,আব্দুস সাত্তার প্রাং, প্রয়াত মো.দেলোয়ার হোসেন। আরো উপস্থিত ছিলেন, সরকারি কলেজের শিক্ষক বিসিএস আয়নাল হক, ব্যবসায়ী মো.রবিউল ইসলাম রবি, আক্কাস আলী,মানবাধিকার কর্মী মো. রেজাউল করিম, শিক্ষানবিশ আইনজীবী মো.মোজাম্মেল হক,  জনতা ব্যাংকের সিনিয়র আইটি বুলবুল আহমেদ রনি সহ আরো উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক ফরিদ আহমেদ আবির, সেলিম রেজা, আশরাফুল ইসলাম, আজিজুল হক,ওমর ফারুক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন জাকারিয়া হোসেন,আরসাদ আলী,ওসমান আলী,মাহাবুর রহমান বাবু, ড.জয়নাল আবেদিন,শামীম আহমেদ,রাকিব হাসান,সজিব হোসেন,জহুরুল হক, রুবেল হক সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণা শেষে বিকাল থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে দেশের নামকরা কণ্ঠশিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন মেহেদী হাসান মিলন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.