পানি ব্যবস্থাপনায় অববাহিকাভিত্তিক পদ্ধতি প্রয়োজন : প্রধানমন্ত্রী

২৬৯
জাপানের কুমামোটোতে শনিবার অনুষ্ঠিত দুদিনব্যাপী চতুর্থ এশিয়া প্যাসিফিক ওয়াটার সামিটে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

উন্নত পানি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনার জন্য একটি অববাহিকাভিত্তিক পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাপানের কুমামোটোতে আজ শনিবার অনুষ্ঠিত দুদিনব্যাপী চতুর্থ এশিয়া প্যাসিফিক ওয়াটার সামিটে ভিডিওবার্তায় প্রধানমন্ত্রী এ গুরুত্বারোপ করেন। জাপানের কুমামোটো সিটি ও এশিয়া প্যাসিফিক ওয়াটার সিটি যৌথভাবে এ সামিটের আয়োজন করে।

ভিডিওবার্তায় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পানি জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। মানবজীবনের টেকসই উন্নয়নের জন্য পানির সঠিক ব্যবহারও জরুরি। পানির কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাব সম্পর্কে বাংলাদেশ বেশ ভালোভাবেই সচেতন রয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোকে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভালো অনুশীলন, জ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি ভাগাভাগি করে নিতে হবে। আজকের মানুষ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পানি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে দায়বদ্ধ। এর মধ্যে পানি সংক্রান্ত এসডিজিও রয়েছে।’

পানি সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের সচেতনতামূলক পদক্ষেপ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালনাসহ আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। আমাদের তরুণদের অবশ্যই ক্ষমতায়ন করতে হবে, যারা পানির অন্তর্ভুক্তি দক্ষতা ও স্থায়ীত্বের জন্য কাজ করবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি থেকে আমাদের ভালোভাবে বেরিয়ে আসতে হলে পানির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।’

নিরাপদ পানির ব্যবহার নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা খোলামেলাভাবে মলত্যাগের বিষয়টি প্রায় শেষ করে ফেলেছি। ৮৫ শতাংশ মানুষের জন্য স্যানিটেশন নিশ্চিত করা হয়েছে। পানিবাহিত রোগের বিরুদ্ধে আমরা বিজয়ী হতে নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছি।’ দেশের প্রায় ৮৫ ভাগ মানুষ নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা পাচ্ছে বলেও জনান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পানি সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশকে রোলমডেল হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বন্যার বাঁধ, সাইক্লোন শেল্টার, উপকূলীয় পোল্ডার, গ্রিন বেল্ট, ভাসমান কৃষি, নদী খনন, শহরের পানির নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগকে বাংলাদেশ উদারতার সঙ্গে উৎসাহিত করে।’

Comments are closed.