রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আর ‘ক্ষমতায় থাকতে পারেন না’ বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে মন্তব্য করেছেন এর মাধ্যমে তিনি রাশিয়ার ক্ষমতায় বদল আনার ইঙ্গিত দেননি বলে দাবি করেছে হোয়াইট হাউস।
শনিবার পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে পুতিনকে নিয়ে বাইডেনের মন্তব্যের পর হোয়াইট হাউস থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। খবর বিবিসির।
এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন জানিয়েছেন, রাশিয়া বা অন্য কোথাও শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন আনতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পরিকল্পনা নেই।
ব্লিংকেন বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন সহজভাবে বলেছেন যে, পুতিনকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে দেওয়া যাবে না।
এদিকে বাইডেনের এ মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন মার্কিন বৈদেশিক সম্পর্ক পরিষদের সভাপতি ও প্রবীণ কূটনীতিক রিচার্ড হাস। এক টুইটে তিনি জানিয়েছেন, বাইডেনের এই মন্তব্য একটি বিরূপ পরিস্থিতিকে আরও বিরূপ ও বিপজ্জনক করে তুলবে। তিনি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে বাইডেন প্রশাসনকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন।
শনিবার পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে ইউক্রেনের শরণার্থীদের কাছে তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শোনেন বাইডেন। তখন তিনি পুতিনকে ‘কসাই’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলন, ঈশ্বরের দোহাই, পুতিন ক্ষমতায় থাকতে পারেন না।
এর তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে মস্কোর পক্ষ থেকে ক্রেমলিন বলেছে, পুতিন ক্ষমতায় থাকবেন কি না সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাইডেন কেউ না।
পরে হোয়াইট হাউস বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলতে চেয়েছেন, ইউক্রেনে এই আগ্রাসন দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। এজন্য বিশ্বকে প্রস্তুত থাকতে হবে। এদিকে বাইডেনের ভাষণের খসড়ায় ‘ক্ষমতায় থাকতে পারেন না’ অংশটি ছিল না বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা।
এর আগে এ মাসের শুরুতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছিলেন, রাশিয়ার নেতা সে দেশের মানুষই নির্বাচন করবে। রাশিয়ার ক্ষমতায় কে থাকবে তা যুক্তরাষ্ট্রের ভাবনার বিষয় নয়।
Comments are closed.