বিসিবি কেন সাকিবের প্রতিপক্ষ হয়ে যাচ্ছে, প্রশ্ন মাশরাফীর

0 ৩৫৬
সাকিব আল হাসান পাশে পেয়েছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে। ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি সাকিব আল হাসানের একটি খোলামেলা সাক্ষাৎকার বেশ নাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে। বিসিবি কর্মকর্তাদের সমালোচনা করে বড় আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। এই ইস্যুতে সাকিব পাশে পেয়েছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে। সাকিবের বক্তব্য অযৌক্তিক নয় বলেও মনে করেন তিনি।

একটি সংবাদমাধ্যমকে মাশরাফী বলেন, ‘এটি খুবই সাধারণ বিষয় যে একজন ক্রিকেটার অবসরে গেলে বিসিবি সভাপতির শীর্ষ পদে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করতেই পারেন। সেরা সভাপতি হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করতেই পারেন। এর মধ্যে বিতর্ক হওয়ার মতো কোনো কারণ দেখছি না। সাকিব বিসিবি সভাপতি হতে চাইতেই পারে। যে কোনো ক্রিকেটারই বলতে পারে এটি।’

 

সাকিবের সঙ্গে বিসিবি কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্বের বিষয়ে সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘সাকিব কেন বারবার বোর্ডের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন? আর বোর্ড-ই বা কেন সাকিবের প্রতিপক্ষ হয়ে যাচ্ছে বারবার?’

 

আর বোর্ডকে দেওয়া সাকিবের  চিঠি সংবাদমাধ্যমে আসা প্রসঙ্গে  মাশরাফী বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডকে দেওয়া সাকিবের চিঠি কেন গণমাধ্যমে এলো? সাকিব তো এই চিঠি ফাঁস করেনি বা তার সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে আপলোড করেননি। তা হলে নিশ্চয়ই বোর্ডের ভেতর থেকে বিষয়টি প্রকাশ হয়েছে। এটি কি কোনো বোর্ডের পেশাদারিত্ব প্রকাশ পাচ্ছে?’

 

গত শনিবার রাতে একটি সংবাদমাধ্যমের ফেসবুক লাইভে সাকিব বলেছিলেন, ‘শুধু কথা হচ্ছে আমি টেস্ট খেলতে চাই না। আমি নিশ্চিত বিসিবিকে আমি যখন চিঠি দিয়েছি, যাঁরাই বলছেন যে, আমি টেস্ট খেলতে চাই না বা টেস্ট খেলব না, তাঁরা আমার চিঠিটা পড়েননি। এটা হচ্ছে একদম বড় কথা। আমি আমার চিঠিতে কোথাও উল্লেখ করিনি আমি টেস্ট খেলতে চাই না। আমি শুধু উল্লেখ করেছি— আমি বিশ্বকাপ প্রস্তুতির জন্য এই সময়টাতে আইপিএল খেলতে চাই। আমি এটুকুই বলেছি শুধু।’

 

এদিকে আকরাম খান এরই মধ্যে জানিয়েছেন, আইপিএলে সাকিবকে খেলার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি বোর্ড পুনর্বিবেচনা করবে।

 

আইসিসির এক বছরের নিষেধাজ্ঞার পর গত বছরের শেষদিকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেন সাকিব। নিষেধাজ্ঞার পর প্রথমে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেন। পরে এই বছরের শুরুর দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

 

চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টও খেলেছিলেন, তবে চোটের কারণে তাঁকে বাইরে বসে থাকতে হয়েছিল এবং একই কারণে ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টও মিস করেন তিনি।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.