রাজশাহীতে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উদ্যাপন

0 ৬০

স্টাফ রিপোর্টার: বর্ণিল আয়োজনে রাজশাহী মহানগরীতে উদ্যাপিত হলো কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২৩। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ”পুলিশ-জনতা ঐক্য করি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি”।
গতকাল শনিবার (৪ নভেম্বর) রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম, রাজশাহী’র উদ্যোগে কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২৩ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালি এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) বিজয় বসাকের সভাপতিত্বের উক্ত অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. মো: আব্দুল খালেক, আহ্বায়ক, রাজশাহী মেরট্রাপলিটন কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ফিন্যান্স) মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল ও রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মহাঃ হবিবুর রহমান।

দিনটি উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৯ টায় নগরীর ভেড়ীপাড়া মোড় হতে একটি বর্ণাঢ্য র্যা লি শুরু হয়ে আরএমপি পুলিশ লাইন্সে শেষ হয়। সেখানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ রংবেরঙের বেলুন-ফেস্টুন ও কবুতর উড়িয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২৩ এর উদ্বোধন করেন । পরবর্তীতে সকাল ১০.৩০ টায় রাজশাহী জেলা পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২৩ উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মুখ্য আলোচক মহোদয় তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর আহ্বানে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। জয় বাংলা শুধু একটি স্লোগান নয়, এটি একটি দর্শন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এই অগ্রযাত্রায় আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি রাজশাহী মহানগরীর নাগরীকবৃন্দের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা প্রদানসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আরএমপি’র প্রশংসা করেন এবং নিরাপদ নগড়ী গড়তে এক সাথে কাজ করার কথা ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক বলেন, ১৯৭৫ সালে পুলিশ সমাবেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন তোমরা জনগণের পুলিশ। সহজেই আমরা জনগণের পুলিশ হতে পারি নাই। ত্রিশ লক্ষ শহিদ ও অগণিত মা-বোনের সর্বোচ্চ সম্মানের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এ স্বাধীনতা রক্ষা করতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রত্যেক সদস্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত। তিনি মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের যেকোনো দুর্যোগে পুলিশের ভূমিকা তুলে ধরেণ।

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের নিকট উন্নয়নের রোল মডেল। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। তিনি মাদক ও সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে উপস্থিত কমিউনিটি পুলিশিং ও স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যদের সচেতন করেন এবং এ বিষয়ে যে কোনো তথ্য দিয়ে সহায়তার করার জন্য তাদের অনুরোধ করেন। তিনি দেশের উন্নয়নে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।

আলোচনা শেষে অতিথিবৃন্দ কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত ও উৎসাহ-উদ্দীপনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪ জন সেরা কমিউনিটি পুলিশিং অফিসার ও ৪ জন সেরা কমিউনিটি পুলিশিং এর সদস্যকে পুরস্কার প্রদান করেন। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় সম্পৃক্তকরণ-এর জন্য দিনের আলো হিজড়া সংঘ, রাজশাহীকে এবং দক্ষতা উন্নয়ন ও উগ্রবাদ প্রতিরোধে বিশেষ অবদানের জন্য দি এশিয়া ফাউন্ডেশনকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আরএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, সাংবাদিকবৃন্দ, কমিউনিটি পুলিশিং ও স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যবৃন্দ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.