সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় প্রাণোচ্ছল রাবির ফাইন্যান্স বিভাগ

0 ১৩২
রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের দুই দিনব্যাপী মিলন মেলায় মেতে উঠছেন সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা। শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের সামনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে পুনর্মিলনীর উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, ফাইন্যান্স বিভাগের অনেক শিক্ষার্থী দেশ ও দেশের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করছেন। দেশের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং খাতকে উন্নায়ন করার জন্য ফাইন্যান্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তারা দেশ-জাতিকে সেবা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন যা আমাদের জন্য গর্বের।
পরে বিভাগটির সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র‍্যালি বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বর, রবীন্দ্র ভবন, প্যারিস রোড, প্রশাসন ভবনসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে মিলিত হয়। এরপরে শুরু হয় আলোচনা সভা।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এ এম  হুমায়ুন কবীর, ফাইন্যান্স বিভাগের সভাপতি মো. জাহিদ হোসাইন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক মোকছিদুল হক, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন ওফ বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. কিসমাতুল আহসান, থারম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আবদুল কাদির মোল্লা ও বিভাগের শিক্ষকরাসহ সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী।
উত্তরা ব্যংকের এজিএম অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন ২০০৩-৪ সেশনের শিক্ষার্থী শেখ ফরিদ। তিনি বলেন, প্রাণের ক্যাম্পাসে আসতে পেরে ভালো লাগছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগ আমার দ্বিতীয় পরিবার। যারফলে দ্বিতীয় পরিবারের সবাইকে একসাথে পেয়ে খুবই আনন্দিত আমি। ছোট ভাইদের আপ্যয়নে আমি আরও মুগ্ধ হয়েছি। এভাবেই হৃদয়ে বেঁচে থাকুক আমার দ্বিতীয় পরিবার ফাইন্যান্স বিভাগ।
পুনর্মিলনীতে অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীদের সাথে নাচে মেতে উঠেন ১৯৮৭-৮৮ ব্যাচের ফাইন্যান্স বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মো. আব্দুল হামিদ। বর্তমানে তিনি পাবনার দেবত্তর ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে আবারও এক হতে পেরে খুবই আনন্দিত। এ মিলন মেলায় বন্ধুবান্ধব ও বিভাগের শিক্ষকদের সাথে মিলিত হতে পেরে আবারও মনে সেই তারুণ্যের ছোঁয়া লেগেছে বলে জানান এ সাবেক শিক্ষার্থী।
দুই দিনব্যাপী এ মিলন মেলার প্রথম দিনে ছিলো টিশার্ট বিতরণ, ক্রিকেট ম্যাচ, স্মরণসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, স্মৃতিচারণসহ  ফটোসেশানের আয়োজন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.