সিনেমার বাজার থেকে সৌদি আরবের বার্ষিক আয় ৩৮৫০ কোটি টাকা

২১২
মডেল নাওমি ক্যাম্পবেলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আল-তুর্কি। ছবি : এপি

৩৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা তুলে সৌদি আরবে সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে মাত্র চার বছর হলো। তবে সব সিনেমা নয়, সংবেদনশীল ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিষয়, যৌনতা এবং সমকামিতা স্পর্শ করে এমন সিনেমা এখনও নিষিদ্ধ দেশটিতে। পশ্চিম এশিয়ার সিনেমাগুলো সবচেয়ে বেশি মুক্তি পায় দেশটিতে।

মার্কিন সাময়িকী ভ্যারাইটি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পশ্চিম এশিয়ার শীর্ষ সিনেমার বাজারে পরিণত হতে যাচ্ছে সৌদি আরব। ২০২০ সালে সৌদি আরবের সিনেমার বাজার থেকে আয় হয়েছে ১৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এক বছরের ব্যবধানে সেই আয় বেড়েছে তিন গুণ। ২০২১ সালে সিনেমার বাজার থেকে সৌদি আরবের আয় ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় তিন হাজার ৮৫০ কোটি টাকার বেশি।

এমন আয়ের ফলে গবেষণা সংস্থা ওমদিয়া বলছে, ২০২৫ সালে সৌদি আরব বিশ্বের দশম বৃহত্তম সিনেবাজার হওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে।

ভ্যারাইটির প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, সিনেমা পরিবেশক সংস্থা ভক্স তিন বছর আগে সৌদি আরবে প্রবেশ করে। যারা এই তিন বছরে দেশটির ছয়টি শহরে নতুন ১৫টি সিনেমা হল খুলেছে। বর্তমানে দেশটিতে ১৫৪টি সিনেমা হল চালু আছে, যাতে ৫০০ স্ক্রিনে সিনেমা প্রদর্শিত হয়।

এখানেই শেষ নয়, সৌদি আরব তাদের বিনোদন খাতে ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এই সামগ্রিক বিনিয়োগ আগামী দশকে এই বাজারকে আরও ত্বরান্বিত করবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।

এ ছাড়া সৌদি আরব বর্তমানে ড্যান্স মিউজিক ফেস্টিভ্যালের আয়োজনে জোর দিতে চায়। এরই মধ্যে সৌদি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে দ্বিতীয় বারের মতো এমন একটি আয়োজন হয়েছে, যেখানে এক লাখ ৮০ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

Comments are closed.