রবিবার (১০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যার্বতন দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর এমন দাবি জানায় বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ)।
এ সময় বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিজয়ের পঞ্চাশ বছরে দাঁড়িয়েও বিএনপি-জামায়াত রাজাকারের ইতিহাস বিকৃতির ষড়যন্ত্র থেকে জাতি বের হতে পারেনি। এখনো সংসদে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়, ইতিহাস বিকৃতির ঔদ্বত্য-উল্লাস করে। ৭৫’র পরবর্তী ইতিহাস বিকৃতির শিকার দেশের একটি জেনারেশন। ফলে, তথ্য-প্রমাণ হাতের কাছে থাকার পরেও বিভ্রান্তির বেড়াজালে ঘোরপাক খাচ্ছে, শ্রেণি বিভেদ আর বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে।
তিঁনি আরও বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানখ্যাত মাদ্রাসাগুলো জাতীয় সংগীতের সাথে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসও অলিখিতভাবে একপ্রকার নিষিদ্ধ করেছে। অন্যদিকে মুসলিম জাতির পিতা আর বাঙালি জাতির পিতাকে এক করে মিথ্যাচার-ষড়যন্ত্রের বাণী মন-মগজে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। ভবিষ্যত প্রজন্ম একে অপরের সংঘাতময় মুখোমুখি দাঁড় করানোর গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে যা সরকারকেই গবেষণা করে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিকে গভীর অন্ধকার থেকে বের করার সময় উপযোগি উদ্যোগ নিতে হবে।
বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, মাদ্রাসাগুলোতে জাতীয় সংগীত চর্চা নিশ্চিত করতে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করা উচিত। অন্যদিকে, সঠিক তথ্য নির্ভর ভবিষ্যত জাতি গঠনে প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহরের প্রতিটি মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়-এ শহীদ মিনারের পাশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি-ম্যূরাল স্থাপন-বাস্তবায়ন করা সময়ের গুরুত্বপূর্ণ দাবি হয়ে উঠেছে।
শ্রদ্ধা নিবেদনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি রাশিদা হক, মিজানুর রহমান, হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ইমরাম খান, মজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাজারুল ইসলাম, সাইকুল আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নাঈমুল রহমান ইমনসহ সংগঠনের নেতাকর্মী।